• নির্দেশ আবেদনপত্র যাচাইয়ের
    আনন্দবাজার | ৩০ জুলাই ২০২৫
  • নতুন ভোটার কার্ডের আবেদন অনুমোদনের আগে বিধি মেনে নমুনা যাচাই করা হচ্ছে না। যা নিয়ে ‘অসাধু’ কিছু কার্যকলাপের ইঙ্গিত পাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় সব জেলাশাসককে গত এক বছরে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদনপত্রগুলি যাচাই করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) কার্যালয়।

    ১৯৬০ সালের রেজিস্ট্রেশন অব ইলেক্টরস আইন অনুযায়ী, নতুন ভোটারের আবেদনপত্রের (ফর্ম-৬) মধ্যে থেকে আচমকা বাছাই করা একাংশ যাচাই করতে হয়। কিন্তু কমিশন লক্ষ্য করেছে, তেমন পদক্ষেপ শুধু যে করাই হয়নি তা নয়, বরং ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও, যাঁদের হাত দিয়ে আবেদনপত্র অনুমোদন পায়) কেউ কেউ নিজেদের ক্ষমতা নিচুতলার আধিকারিকদের দিয়ে রেখেছেন। কার্যক্ষেত্রে তাঁরাই বহু আবেদনপত্রের অনুমোদন দিয়েছেন। তাতে নথি যাচাই মান্যতা পায়নি, আবার একই নথিতে একাধিক ভোটার কার্ডের আবেদন অনুমোদন পেয়েছে। এই কারণে অন্তত দু’জন ইআরও-র ভূমিকা কমিশনের আতসকাচের তলায় এসেছে। তাই সব জেলাশাসককে বলা হয়েছে, সিনিয়র আধিকারিকদের দল গড়ে গত এক বছরে নতুন আবেদনপত্রগুলি যাচাই করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

    সিইও কার্যালয় সূত্রের খবর, চলতি মাসে সীমান্তবর্তী জেলাগুলি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার নতুন নাম তোলার আবেদন জমা পড়েছে। জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া এবং কোচবিহার। প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট দফতর মনে করিয়ে দিচ্ছে, ভোটার তালিকায় ঊর্ধ্বতনের ইউজ়ার নেম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে ভোটার আবেদন অনুমোদনের জন্য তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে জেল পর্যন্ত হতে পারে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)