• ভেঙেই ফেলা হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন! বাঁচানো গেল না আর... মাত্র ১৫ বছরেই কী ভাবে ফাটল
    News18 বাংলা | ৩০ জুলাই ২০২৫
  • সারাতে কতদিন সময় লাগবে জানাতে পারেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রেলের দাবি, ওভারগ্রাউন্ড স্টেশন ও অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরেই এই ফাটল দেখা দিয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কথায়, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। যে পিলারগুলিতে ফাটল দেখা গিয়েছে, সেগুলির সঙ্গে ছাদ যুক্ত রয়েছে। ফলে যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ সোমবার দুপুরের পর থেকে ব্লু লাইনে কোনও মেট্রোই কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত যায়নি। দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো চলে। আবার সেখান থেকেই রেক ঘুরিয়ে ফেরানো হয় দক্ষিণেশ্বরে।

    মাত্র ১৫ বছরের মধ্যেই কবি সুভাষ বা নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশনের একাধিক মেট্রো স্টেশনে ফাটল দেখা দিয়েছে৷ ফলত সোমবার দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই স্টেশনের পরিষেবা। এখন মেট্রো চলাচল সীমিত দক্ষিণেশ্বর থেকে ব্রিজি স্টেশন পর্যন্ত। কিন্তু কেন হল এমন? উঠছে প্রশ্ন।

    এবার নিয়ে নেওয়া হল চরম সিদ্ধান্ত৷ জানিয়ে দেওয়া হল ভাঙা হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন৷
    ব্লু লাইন প্ল্যাটফর্ম ভাঙার সিদ্ধান্ত। টেন্ডার ডাকল মেট্রো।

    ১১,১৬,১৭,২০ নম্বর পিলার ভীষণ রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর উদ্বোধন হয়েছিল এই স্টেশনের। মাত্র ১৫ বছরেই সেই মেট্রো স্টেশনকে ভেঙে ফেলে পুনঃনির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর, এই কাজ করতে অন্তত ১ বছর সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই অনলাইনে টেন্ডার ডেকেছে মেট্রো। সেখানেই উল্লেখ হয়েছে একাধিক বিষয়৷

    ২০১০ সালের অক্টোবরে চালু হয় নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে ফাটল ধরেছে আপ লাইনের ৪টি পিলারে। অথচ শহরের অন্যান্য মাটির নিচের স্টেশনগুলি প্রায় ৪০ বছর ধরে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে, সেগুলিতে এমন সমস্যা দেখা যায়নি।

    প্রতিদিন যে স্টেশনে এত মানুষের যাতায়াত, সেখানে পরিকাঠামোয় কীভাবে এমন ত্রুটি? প্রশ্নের মুখে মেট্রো রেলের পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যাত্রীরা। নিউ গড়িয়া মেট্রো থেকে বহু মানুষ শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন ধরেন। এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তি হচ্ছে তাঁদেরও।

    মেট্রো কর্তৃপক্ষ দাবি করছে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণেই এই ফাটল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি নিয়মিত 'হেলথ মনিটরিং' চালু থাকত, যদি আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া হত, তবে কি এমন হতো? মেট্রো সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশনে সমস্যা দেখা যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুজোর পর এই কাজে হাত দেওয়া যাবে। গত সপ্তাহে লাগাতার বৃষ্টিতে বদলায় পরিস্থিতি। গঠনগত কারণে একের পর এক পিলারে ফাটল দেখা যায়। বসে গিয়ে প্ল্যাটফর্মের বেশ কিছু অংশ।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টেশনের এলাকাটি একসময় জলাভূমি ছিল। ফলে নরম মাটিতে পিলারের গঠন দুর্বল হতে পারে, বিশেষ করে যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস জানান, “এই ধরনের ফাটল সাধারণত মরচে পড়ার ফলে হয়। এটা একদিনে হয়নি, বহুদিন ধরে এমন চলছিল। মেট্রো কর্তৃপক্ষ নজর দেয়নি বলেই এই বিপত্তি।”

    সারাতে কতদিন সময় লাগবে জানাতে পারেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রেলের দাবি, ওভারগ্রাউন্ড স্টেশন ও অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরেই এই ফাটল দেখা দিয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কথায়, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। যে পিলারগুলিতে ফাটল দেখা গিয়েছে, সেগুলির সঙ্গে ছাদ যুক্ত রয়েছে। ফলে যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ সোমবার দুপুরের পর থেকে ব্লু লাইনে কোনও মেট্রোই কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত যায়নি। দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো চলে। আবার সেখান থেকেই রেক ঘুরিয়ে ফেরানো হয় দক্ষিণেশ্বরে।
  • Link to this news (News18 বাংলা)