বাংলাদেশের ভোটার লিস্টেও বারাসতের যুবকের নাম, বলছেন, 'BJP করি বলে...'
আজ তক | ৩০ জুলাই ২০২৫
ভুয়ো ভোটার সহ একাধিক ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এনআরসি, সিএএ ও অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে বঙ্গে। আর এর মাঝেই বারাসাত ১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত হেমন্ত বসু নগরে খোঁজ মিলল এক ভুয়ো ভোটারের। একইসঙ্গে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় ভোটার লিস্টে নাম পাওয়া গিয়েছে সুব্রত মণ্ডলের। হেমন্ত বসু নগরে মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা এই সুব্রত। ২০০০ সালে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চোরা পথে এসেছেন এমনটাই দাবি ওই ব্যক্তির। এদেশে এসে প্রথমে মামারবাড়ি এবং পরবর্তীতে ভাড়ায় থাকতেন তিনি ও তাঁর পরিবার। পরবর্তীকালে পড়াশোনার সুবাদে এদেশে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ডের মতো সমস্ত নথিপত্র তৈরি করেন।
২০১১ সালে কদম্বগাছি হেমন্ত বসু নগর এলাকায় বাড়ি করে বসবাস করা শুরু করেন সুব্রত মণ্ডল। তবে এদেশের পরিচয় পত্রগুলিতে প্রথম থেকেই একাধিক আড়ালের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে সমস্তটাই বলতে হোঁচট খেয়েছেন বারবার। ভারতীয় ভোটার কার্ডের ২০১৪ সালের ভোটার লিস্টে প্রথমে তাঁর বাবার পরিচয়ে নাম আসে ফনি মণ্ডল। তবে পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিট করে ২০২৫ এর ভোটার লিস্ট তালিকায় বাবার নাম ঠিক করে রাখেন সুভাষ মণ্ডল। কেন প্রথমদিকে শংসাপত্রে ভুল হয়েছে এ প্রশ্ন করতেই কথায় গড়িমসি মেলে সুব্রতর। পাশাপাশি তার বাবা-মার সঙ্গেও কথা বলতে গেলে একপ্রকার অসুস্থতার বাহানা দিয়ে কার্যত আড়াল করতে চেয়েছেন সুব্রতবাবু। তিনি এও বলেন,একজন বিজেপি কর্মী হওয়ায় তাঁর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলা আসলেও বাংলাদেশি পরিচয়পত্রগুলির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। এমনকি তিনি এও বলেন, কদম্বগাছির পঞ্চায়েত প্রধানের সাহায্যে তিনি এবং তার দুই বোনের ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি হয়েছে। বাবা-মায়ের বয়স বেড়ে যাওয়ায় তাদের ভোটার কার্ড তৈরি করতে গেলে মোটা টাকা চাওয়া হয়। তবে বারবার প্রশ্নে বাংলাদেশি পরিচয় পত্রে থাকা বাবা-মায়ের নাম আত্মগোপন করছেন সুব্রত।
এই প্রসঙ্গে কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাধুরী মণ্ডল বলেন, যদি সত্যিই দুই দেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েতের কোনও কর্মী বা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান পরিচয় পত্র তৈরি করে দিতে তাঁকে (সুব্রত মণ্ডল) সহায়তা করেছে কিনা সে সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে যদি এ অভিযোগ সত্য হয় তবে অবশ্যই প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।