কোলাঘাটে ব্যবসায়ীকে ‘অপহরণ’ দুষ্কৃতীদের, তাড়া করে ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার পুলিশের
প্রতিদিন | ৩০ জুলাই ২০২৫
সৈকত মাইতি, তমলুক: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে গাড়িতে করে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। তখন দুষ্কৃতীরা ওই গাড়ি তাড়া করে বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীকে টাকার ব্যাগ-সহ জোর করে গাড়িতে তুলে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। দিনেদুপুরে ওই ঘটনা দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল উপস্থিত স্থানীয়দের মধ্যে। দুষ্কৃতীদের ওই গাড়ি ধাওয়া করা হয়। বেগতিক দেখে ওই ব্যবসায়ীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তাড়া করে ওই গাড়ি ও গাড়ির চালককে আটক করেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট এলাকায়।
বর্ধমানের মেমারি থানার দেবীপুর এলাকায় বাড়ি ব্যবসায়ী কৃশানু সামন্তের। এদিন সকালে পাঁশকুড়া থানা এলাকার একটি ব্যাঙ্ক থেকে তিনলক্ষ টাকা তুলে তিনি গাড়িতে ফিরছিলেন বলে খবর। সেসময় অন্য একটি গাড়িতে দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিছু নেয় বলে অভিযোগ। জিঞাদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর গাড়ির পথ আটকানো হয়। ওই ব্যবসায়ীকে টাকার ব্যাগ-সহ গাড়ি থেকে নামিয়ে নিজেদের গাড়িতে দুষ্কৃতীরা জোর করে তোলে বলে অভিযোগ। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কার্যত ফিল্মি কায়দায় এই অপহরণ হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন হতবাক হয়ে পড়েন।
সেসময় ওই রাস্তা দিয়ে আবগারি দপ্তরের কোলাঘাট সার্কেলের বড়বাবু রাহুল দাস অফিস যাচ্ছিলেন। ঘটনা দেখে তিনি অপহরণকারীদের গাড়ির পিছু ধাওয়া করেন। কোলাঘাট থানার পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। কোলাঘাট থানার পুলিশও দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করে। বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা কোলাঘাট থানার দেউলবাড় এলাকায় জোর করে গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে পালিয়ে যায়। রাস্তা থেকে ব্যবসায়ী কৃশানু সামন্তকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে দুষ্কৃতীদের গাড়ি ধাওয়া করে পুলিশ। বুড়ারির কাছে দুষ্কৃতীদের গাড়ি পাকড়াও করা হয়। গাড়ির চালক ও তাঁর সহকারীকে পাকড়াও করে পুলিশ। আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী গাড়িতে ছিল। তারা পলাতক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ায় জখম হয়েছেন ওই দুষ্কৃতী। তাঁকে পাইকপাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ধৃত দু’জনকে এদিন আদালতে তোলা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কেন ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হল? ব্যবসায়িক কারণ নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।