• ভোটার তালিকা কত নাম বাদ পড়বে, তা ঘিরে জল্পনার আবহে নির্বাচনে কত আসন পাবে TMC?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জুলাই ২০২৫
  • বিহারে শেষ হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। এই আবহে প্রায় ৬০ লাখের বেশি নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এবার বাংলাতে হওয়ার কথা ভোটার তালিকা সংশোধন। এই প্রক্রিয়াকে অবশ্য এনআরসি বলে দাবি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এও বলেছেন, কারও নাম তিনি ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে দেবেন না। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার বলছেন, বিহারের তুলনায় বেশি নাম বাংলায় বাদ যাবে এসআইআর বলে। এই আবহে আগামী নির্বাচনে কত আসন জুটবে তৃণমূলের ঝুলিতে? এই নিয়ে বড় দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।

    তৃণমূল নেতার দাবি, যে তালিকাতেই ভোট হোক, ২৫০-র বেশি আসন নিয়ে ফের ক্ষনতায় ফিরবে তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে শুভেন্দুর নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের কাজ নির্বাচন কমিশনকে বুঝতে দিন শুভেন্দু।' প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অভিকারী অভিযোগ করেন, বিএলও নিয়োগ নিয়ে কারচুপি করছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। তিনি দাবি করেছেন, বহু বুথে এখনও স্থায়ী কর্মীর বদলে অস্থায়ী কর্মীকে বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু বলেছিলেন, 'নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দাবি করছি বিএলও-দের তালিকা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও তুলতে হবে বুথ নম্বর ডিটেলস দিয়ে। তৃণমূল অনুপ্রবেশকারী আর শরণার্থীদের গুলিয়ে দিচ্ছে। এসআইআর হলেই অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে। বিভিন্ন জায়গায় বিডিও, এসডিও রা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বসে, স্থায়ী কর্মী থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাডারদের বিএলও হিসাবে করেছে। এমনকী ২৬ হাজার চাকরিচ্যুত লোকজনকেও কোথাও কোথাও বিএলও হিসাবে নিয়োগ করেছে। বিএলও, এসডিও, ডিএম-রা ভাবছেন আগের মতো হবে। সব ধামাচাপা পড়ে যাবে। কিন্তু ধামাচাপা পড়বে না। আপনাদের প্রতি ঘণ্টার কাজ নজরদারি করছি আমরা।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)