• গড়িয়ে পড়ল ভবতারিণীর হাতের ফুল, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে আপ্লুত রাষ্ট্রপতি
    প্রতিদিন | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: গড়িয়ে পড়ল ভবতারিণীর হাতের ফুল। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে আপ্লুত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কল্যাণী এইমসের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর মেয়েকে নিয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পৌঁছন। রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ অন্যান্যরা। রাষ্ট্রপতির এই সফর ঘিরে এদিন নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছিল গোটা এলাকা। বেলা বারোটার পর দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল মন্দিরে। বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। গঙ্গায় লাগাতার টহল জারি রেখেছিল ভারতীয় নৌসেনা।

    সন্ধে ৬টা নাগাদ মন্দিরে ঢোকেন দ্রৌপদী মুর্মু। ধূপ-প্রদীপ দিয়ে আরতি করেন তিনি। ঠিক তখনই মায়ের হাত থেকে একটি ফুল গড়িয়ে পড়ে। সেটিকে আশীর্বাদ হিসাবে চেয়ে নেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর মেয়ে ইতিশ্রী মুর্মু হাতের একটি আংটি মায়ের পায়ে ছুঁয়ে নেন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের তরফে রাষ্ট্রপতির হাতে মানপত্র, বই, ভবতারিণী মায়ের এবং মন্দিরের ছবি তুলে দেওয়া হয়। প্রায় আধঘণ্টা থাকার পর মন্দির থেকে রওনা দেন রাষ্ট্রপতি। উল্লেখ্য, ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯৫২সালে এসেছিলেন দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে। রাষ্ট্রপতি মুর্মু ভবতারিণী মায়ের মন্দিরে এসে পুজো দেওয়ায় আপ্লুত সকলে।

    দক্ষিণেশ্বরের অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, “মাকে প্রদীপ, ধূপ জ্বালিয়ে আরতি করেছেন, মায়ের চরণে পদ্ম অর্পণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আরতির সময় মায়ের হাত থেকে পদ্মের পাপড়ি গড়িয়ে পড়ে। এটি খুবই শুভ। পুজো শেষে সেই ফুল চেয়ে নেন রাষ্ট্রপতি। দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রানি রাসমণি নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম পথ প্রদর্শক ছিলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও সমাজ সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দু’জনের মধ্যে আমার একটি মিল আমরা দেখতে পাই। আমরা রাষ্ট্রপতির মঙ্গল কামনা করি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)