• মেঘালয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা কি হারাতে পারে তৃণমূল? কংগ্রেস বিধায়কের দলত্যাগের পরে কেন প্রশ্ন?
    আনন্দবাজার | ৩০ জুলাই ২০২৫
  • প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল আগেই। এ বার মেঘালয় বিধানসভায় কার্যত এক মাত্র বিরোধী দল হতে চলেছে তৃণমূল। বুধবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যের এক মাত্র কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রনি ভি লিংডো শাসকদল এনপিপি (ন্যাশনাল পিপল্‌স পার্টি)-তে যোগদানের কথা ঘোষণা করার পরে পূর্বতন শাসকদলের কোনও প্রতিনিধি রইলেন না বিধানসভায়।

    মাইলিয়াম আসনের বিধায়ক রনি বুধবার স্পিকার টমাস এ সাংমাকে চিঠি লিখে এনপিপি-তে যোগদানের কথা জানিয়েছেন। বিধানসভায় তিনিই একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। ফলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়কপদ খারিজ হবে না। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের ফলে ‘বিরোধী দল’ হিসেবে বিধানসভায় তৃণমূলের মর্যাদা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ের ৬০টি আসনের মধ্যে ২৬টিতে জিতেছিল এনপিপি। ১২টি আসনে জেতা ইউডিপি এবং আরও কয়েকটি ছোট দলের সমর্থনে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা। কংগ্রেস এবং তৃণমূল দুই দলই পাঁচটি করে আসনে জিতেছিল। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে পরিষদীয় বিধির শর্ত পূরণ না করায় কোনও দলই বিরোধী দলনেতার পদ পায়নি। এর পরে কংগ্রেসের চার বিধায়ক দলত্যাগ করে শাসকশিবিরে শামিল হওয়ায় ২০২৪ সালে রনির সমর্থনে বিরোধী দলনেতার পদ পেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মুকুল সাংমা। পরিষদীয় বিধি অনুযায়ী বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পেতে গেলে ১০ ভাগের এক ভাগ (৬টি) আসন পেতে হয়। সে সময় রনি তৃণমূল বিধায়ক মুকুলকে সমর্থন করায় তাঁর বিরোধী দলনেতার মর্যাদা পাওয়া সম্ভব হয়েছিল।

    কিন্তু কংগ্রেসের বিধায়ক রনি এ বার মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের বিরোধী দলনেতার পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মেঘালয় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পিনগ্রোপকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি । মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হলেও তার উত্তর দেননি । তবে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। মেঘালয়ের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তবেই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)