গঙ্গার ভাঙন রোধে ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিন রাজ্যের বৈঠকে নির্ধারিত হল রূপরেখা, লক্ষ্য স্থায়ী সমাধানের
আনন্দবাজার | ৩০ জুলাই ২০২৫
গঙ্গা নদীর ভাঙন রোধে বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। সম্প্রতি পটনায় বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃরাজ্য বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ‘গঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন’-এর তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের নির্দেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেচ দফতর সূত্রে খবর, গঙ্গার ভাঙন ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের মোট ১৬৩.৫ কিলোমিটার নদীপারে পরিকাঠামো নির্মাণ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় নদীভাঙনের সমস্যা প্রকট হওয়ায় সেখানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে রতুয়ার প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) সাত দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, বিহারে গঙ্গার ১৫ কিলোমিটার নদীপারে একই মডেলে পরিকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিপিআর মডেল অনুসরণ করেই বিহারে কাজ হবে বলে জানা গিয়েছে। বিহারের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এই ১৫ কিমি অংশের জন্য ডিপিআর তৈরির কাজও জোরকদমে চলছে এবং ৪৫ দিনের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হবে। এ ছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের ভাঙন রোধ প্রকল্প কার্যকর করতে আন্তঃরাজ্য সীমানায় অবস্থিত সকরিগলি চ্যানেলে ১৫ কিমি ড্রেজিংয়ের জন্য বিহার ও ঝাড়খণ্ডকে দ্রুত এনওসি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ড্রেজিংয়ের ব্যয়ভার বহন করবে পশ্চিমবঙ্গ, কারণ তা মূলত এই রাজ্যেরই স্বার্থ রক্ষার্থে করা হচ্ছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের তরফে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ডিপিআর তৈরি ও সমন্বয়মূলক প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন করে পরবর্তী বৈঠকে অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন রাজ্যের সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গঙ্গা ভাঙনের দীর্ঘদিনের সমস্যা রুখে দেওয়ার আশা করা হচ্ছে।