নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই গৌড়বঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। শনিবার থেকে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে চলেছে। আবহাওয়া দপ্তরের বার্তায় খুশির হওয়া দুই দিনাজপুরে। কারণ আমন ধান চাষের মরশুমে এই বৃষ্টি আশীর্বাদ জেলার চাষিদের জন্য। জেলা কৃষি দপ্তরও এই বৃষ্টিকে চাষের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছে।
গত এক সপ্তাহে বিক্ষিপ্তভাবে অল্পবিস্তর বৃষ্টি হলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে যায়নি। গরম থাকলেও সেভাবে প্রখর হয়নি গৌড়বঙ্গ জুড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশ, ফুরফুরে হাওয়ার জন্য গরমের অনুভূতি তুলনামূলক কম ছিল। সিকিম আবহাওয়া দপ্তর থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী,রায়গঞ্জ ও আশেপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৫.৫ ডিগ্রি। বৃষ্টি হয়েছে ৪৪ মিলিমিটার। একইভাবে সর্বোচ্চ ৩৩ ও সর্বনিম্ন ২৫.৭ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে বালুরঘাট ও আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা। বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিমি। মালদহের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ও সর্বনিম্ন ছিল ২৭.২ ডিগ্রি। নামমাত্র বৃষ্টি হয়েছে জেলায়। সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু মৌসুমী অক্ষরেখার পূর্বপ্রান্ত তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে উত্তর দিকে উঠে আসায় হিমালয়ের পাদদেশে অর্থাৎ উত্তরের ছাড়াও গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এদিকে আবহাওয়ার এই গতি প্রকৃতি প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুরের কৃষি আধিকারিক প্রিয়নাথ দাস বলেন, এই সময় যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা আমন ধান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ভারী বৃষ্টি হলেও সেভাবে এই জেলায় তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না।