• বেলুন-গোলাপে গাড়ি সাজিয়ে শোভাযাত্রা, সদ্যোজাত কন্যা, স্ত্রীকে নিয়ে চাঁচলের গ্রামে ফিরলেন যুবক
    বর্তমান | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: ছেলে না মেয়ে, তাতে কী আসে যায়! বরং সন্তান ও তার মা যেন ভালো থাকে, সেটাই বড় কথা। প্রথমবার বাবা হওয়ার আনন্দে কন্যাসন্তান ও স্ত্রীকে সাদরে বরণ করে গ্রামে নিয়ে এলেন চাঁচলের দক্ষিণ পরাণপুরের তারিক আনসার। বুধবার দুপুরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে শোভাযাত্রা করে স্ত্রী ও সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়ে আসেন তিনি। দু’জনের জন্য বেলুন ও গোলাপ দিয়ে গাড়ি সাজান। 

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তারিকের স্ত্রী আজিমা খাতুন রবিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতেই স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে জন্ম নেয় ফুটফুটে কন্যা।  হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌঁছে গ্রামে মিষ্টি বিলি করেন তারিক। তিনি গর্ব করে বলেন, এটা তো শুধু আমার নয়, গোটা সমাজের উৎসব। সবাই বুঝুক, মেয়ে মানেই বোঝা নয়। দিন কয়েক পর গ্রামে উত্সবের আয়োজন করছেন তারিক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। ইনচার্জ ডাঃ মহম্মদ সামিম বলেন, আমারও মেয়ে আছে। এখনও কন্যাসন্তান জন্মালে অনেক পরিবারের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। এটা সামাজিক ব্যাধি। এভাবে নবজাতক কন্যাদের স্বাগত জানালে সমাজে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে। ওই পরিবারের এমন মানসিকতার প্রশংসা জানাই। মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি তারিকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, মেয়েরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশের রাষ্ট্রপতি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও মহিলা। নারীরা আজ সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। রাজ্য সরকার মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কন্যাশ্রী ও রূপশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প চালু করেছে।  চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে বেলুন, গোলাপফুলে সাজানো গাড়ি।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)