সংবাদদাতা, বোলপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরের পরই অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তা পুনর্বহাল করা হল। আবারও তাঁকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল। আগের মতোই নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা কনভয় নিয়ে এদিন বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে দলের পার্টি অফিসে আসেন কেষ্ট। ফলে দলে তাঁর গুরুত্ব ফের বাড়ছে তা কার্যত স্পষ্ট। ২০২৬সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বীরভূমে দলের সংগঠন চাঙ্গা করতে নেত্রীর আস্থা যে কেষ্টর উপরই, তা স্পষ্ট হল। প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় জামিনে মুক্তির পর অনুব্রতকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই বাড়িয়ে তা ওয়াই প্লাস করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা কোর কমিটির সদস্যও করা হয় অনুব্রতকেও। কিন্তু পরিস্থিতি বদল হয় গত ২৯মে। একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে। সেই অডিও ভাইরাল হতেই রাজ্যজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন অনুব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিস। তদন্তকারী অফিসার বোলপুরের এসডিপিওর কাছে হাজিরাও দেন অনুব্রত। এমনকী, দলের নির্দেশে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান। ওই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষুব্ধ হন। দলে তাঁর গুরুত্ব কমতে থাকে। এরপরই তাঁর ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফরে ১০মিনিটের বৈঠক যাবতীয় সমীকরণ বদলে দেয়। দলনেত্রী তাঁকে কোর কমিটির কনভেনর করেন।
মঙ্গলবার ইলামবাজারে অনুব্রতকে আলাদা করে ডেকে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরই এদিন অনুব্রতর নিরাপত্তা পুনর্বাহাল হল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর কনভয়ে থাকছে একটি পাইলট কার, দু’টি এসকর্ট গাড়ি ও প্রায় ১৫জন নিরাপত্তারক্ষী ও দেহরক্ষী। বাড়িতেও পুলিসের পাহারা বাড়ানো হয়েছে। এদিন সেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই বোলপুরে পার্টি অফিসে আসেন কেষ্ট। যদিও এনিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।