• দেউচা পাচামি কয়লা শিল্পে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হবে
    বর্তমান | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: দেউচা পাচামি কয়লা শিল্পে প্রায় ৩৫হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক লক্ষের বেশি কর্মসংস্থান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরই খুশির হাওয়া দেউচা পাচামি কয়লা শিল্প এলাকায়। দ্রুততার সঙ্গে কাজ হোক। চাকরির ব্যবস্থার আবেদন করছেন স্থানীয় আদিবাসীরা। 

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেউচা পাচামিতে খননকাজ শুরু হয়েছে। এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই কয়লাখনির কাজ জোরকদমে চলছে। ইতিমধ্যে ব্যাসল্ট শিলা তোলার কাজের গতি এসেছে। ইতিমধ্যে ওই খনিকে কেন্দ্র করে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪৮২জন চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও কয়লাখনি প্রকল্পে বেশকিছু স্থানীয় বাসিন্দা কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। আরও অনেকের কর্মসংস্থান হবে, জেলা সফরে এসে দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতেই খুশি দেউচা পাচামি কয়লাখনি এলাকার আদিবাসী মানুষজন। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়েছিলেন ওই এলাকার আদিবাসীরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কয়লা শিল্পের কথা ঘোষণা হতেই এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন শুরু হয়েছে। নিজেদের উন্নয়ন দেখে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। শিল্পকে কেন্দ্র করে এলাকার দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যা দূর হয়েছে। আরও একাধিক সমস্যার সমাধান হয়েছে। কয়লা শিল্পকে কেন্দ্র করে নিজেদের কাজের দিশা দেখেছেন এলাকার মানুষজন। তবে এখনও অনেক আদিবাসী মানুষ সরকারি চাকরি পাননি। সেই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আবেদন রাখছেন এলাকার মানুষজন। 

    কয়লা শিল্প এলাকার মথুরাপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কালীচরণ মুর্মু বলেন, আমরা শিল্প চাই। তাই সকলে জমি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তবে এখনও অনেক আদিবাসী মানুষ চাকরি পাননি। আমরা চাই তাঁদের দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা হোক। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। কয়লা শিল্প এলাকার বাসিন্দা রবি টুডুও একই কথা জানান। তিনি বলেন, শিল্পের পক্ষে আমরা সকলে। আমরা সহযোগিতা করছি। দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। তবে জমি দেওয়া বাকি আদিবাসী ভাইবোনদের চাকরিও যেন তাড়াতাড়ি হয়, সেব্যাপারে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই। দেওয়ানগঞ্জের যতন মুদি, তালবাঁধের সুরেন্দ্রনাথ টুডু বলেন, আমরা খুবই খুশি। কয়লা শিল্পকে কেন্দ্র করে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। এটাই তো আমরা চাই। আদিবাসী নেতা রবিন সরেন বলেন, শিল্পের উদ্যোগ খুবই ভালো। অনেকে চাকরি পেয়েছেন। আরও অনেকে পাবেন। আমরা খুবই খুশি। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, আরও ১০০০জনকে গ্রুপ-ডি চাকরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তা অর্থদপ্তরের কাছে কাছে রয়েছে। দ্রুত অনুমোদন পেয়ে যাব। পুলিসে নিয়োগের ব্যাপারে জেলার পুলিস সুপারকে বলে দেওয়া হয়েছে। ভেরিফিকেশন রিপোর্ট এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট পেলেই জুনিয়র কনস্টেবলের নিয়োগ করা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)