• বোনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নাবালিকা প্রেমিকাকে খুন, নিয়ামতপুরে ধৃত যুবতী
    বর্তমান | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: দু’জনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব। পড়শিরা মনে করত দু‌ই সখী। বাড়িতে যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া। ধীরে ধীরে হরিহর আত্মা বন্ধুর দাদাকে মনে ধরে এক সখীর। গল্পটা মনিকা মণ্ডল ও বুনি বাউরির। বুনির দাদা শুভমের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মনিকার। ঘটকালির দায়িত্ব নেয় বুনি নি঩জেই। এমন সুসম্পর্কই যে ধীরে ধীরে প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে, তা সম্ভবত আশা করেননি কুলটি থানার নিয়ামতপুরবাসী। চলতি মা঩সেই বাড়ির কাছের কুয়ো থেকে দেহ উদ্ধার হয় মনিকার। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় প্রেমিক শুভম। প্রাথমিক ভাবে পুলিস জানিয়েছিল, অন্যত্র ঘর বাঁধার জন্য রাতে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল মনিকা। কিন্তু শুভম পালাতে অস্বীকার করে। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিস জানতে পারে, মনিকাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। আর এই খুনের পুরো চিত্রনাট্য সাজিয়ে ছিল মনিকার অভিন্ন হৃদয় বন্ধু বুনিই। কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিস বুধবার বুনিকে গ্রেপ্তার করেছে। ডিসি সন্দীপ কাররা বলেন, নাবালিকা খুনে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। গত, ৬ জুলাই গভীর রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় মনিকা। মায়ের পাশেই শুয়ে ছিল ১৬ বছরের এই নাবালিকা। রাতে তার মা উঠে দেখেন মেয়ে যেখানে শুয়ে ছিল সেখানে বালিস সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রাচীর টপকে পালিয়েছে মেয়ে। খোঁজাখুজি শুরু হয়। ৮ জুলাই বা঩ড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে মনিকার দেহ উদ্ধার হয়। সেদিনই শুভমদের বাড়িতে চড়াও হয় জনতা। বাড়ি থেকে নাবালিকার চটি উদ্ধার হওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থল থেকেই পুলিস শুভম ও তার ভাই রোহনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনা হিসে঩বেই পুরো বিষয়টি দেখা হয়েছিল। পুলিস তদন্ত সঠিক পথে নিয়ে যেতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের টিমকেও নিয়ে আসে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়।  
  • Link to this news (বর্তমান)