• দুবাই থেকে কলকাতায় অফিস খুলে ক্রিপ্টোয় বিনিয়োগের নামে প্রতারণার জাল
    বর্তমান | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুবাইতে বসে রয়েছে চক্রের কিং পিন। সেখানে বসেই শাগরেদদের দিয়ে ফেয়ারলি প্লেসে খুলিয়েছিল অফিস। ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের নামে চলছিল প্রতারণা। বিনিয়োগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো টাকা পাচার হয়ে যেত বিদেশে। জালিয়াতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর জেরা করে এমনই তথ্য পেলেন ডিরেক্টরেট অব ইকোনমিক অফেন্সেসের (ডিইও) গোয়েন্দারা। এভাবে কয়েক কোটি টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে বলে খবর। চক্রের মূল পান্ডা শুভ্রকান্তি নাগের বিরুদ্ধে লুক আউট জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অনলাইনে বিনিয়োগের টোপ দিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতানোর পর বেপাত্তা হয়ে যান শুভ্রকান্তি নাগ। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়তে থাকে। ডিইও তদন্ত শুরু করার পরই ঝাঁপ গোটায় ওই কোম্পানি। অভিযুক্ত শুভ্রকান্তি দুবাইতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে যোগাযোগ রাখছিলেন তাঁর ডান হাত দিগন্ত মল্লিকের সঙ্গে। তাঁকে দিয়ে নতুন আরও একটি কোম্পানি খোলান। অফিসের ঠিকানা দেখানো হয় ফেয়ারলি প্লেস। দিগন্তের সঙ্গে ডিরেক্টর হন জালিয়াতের আর সহযোগী সুভাষ চক্রবর্তী। প্রতারক শুভ্রকান্তি যে আসলে এই কোম্পানির মালিক তা কাউকে বুঝতে দেননি। ওই দুই ডিরেক্টর অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানান, ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করলে মিলবে বিরাট মুনাফা। অনেকেই টাকা বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। মার্চ-জুন এই ক’মাসেই তারা কয়েক কোটি টাকা তুলে ফেলে বাজার থেকে। ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগকারীরা টাকা রেখেও রিটার্ন না পেয়ে অভিযোগ করলে তদন্তে নামে ডিইও। ডিইওর গোয়েন্দারা দিগন্তের মোবাইলের কল ডিটেইলস ও মেসেজের সূত্র ধরে জানতে পারেন, কল আসছে দুবাই থেকে। দিঘাতে একটি হোটেলে তাদের কনফারেন্স রয়েছে। সেখানে নতুন স্কিম চালু করার ব্যাপারে আলোচনা হবে। দুবাই থেকে অনলাইনে যোগ দেবেন কিং পিন। এরপর দিগন্ত সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিইও। তাঁদের জেরা করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে  আসে। জানা যায়, এর পিছনে রয়েছে প্রতারক শুভ্রকান্তি নাগ। তিনি দুবাইতে বসে গোটা কারবার নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিনিয়োগকারীরা টাকা জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)