নিরুফা খাতুন: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ এবং মৌসুমী অক্ষরেখার ত্রিফলা। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি লেগেই রয়েছে। তবে শুক্রবারের পর থেকে আবহাওয়া উন্নতির সম্ভাবনা। সামান্য কমবে বৃষ্টি। তবে উত্তরবঙ্গে সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা এবং সংলগ্ন ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় বর্তমানে ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত। উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখা ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থানের বিকানের, রাঁচি এবং দিঘা হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এদিকে, বঙ্গে বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রত্যেক জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। তবে শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি। কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ভাসতে পারে দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহ। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। সোমবার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি কমলেই বৃষ্টি না হলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। শনিবার থেকে কলকাতায় বাড়বে তাপমাত্রা। সঙ্গে জলীয় বাষ্প থাকায় বাড়বে অস্বস্তি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৪ থেকে ১০০ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ৪০.৬ মিলিমিটার।