• বাংলায় নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শমীকের, নোটিস দিলেন রাজ্যসভায়
    এই সময় | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কমিশনের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে— এই অভিযোগ তুলে রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। অবিলম্বে এই ইস্যুতে আলোচনা হোক সংসদে, দাবি শমীকের।

    একজনও ন্যায্য ভোটার যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না যান, নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের ভূমিকা যেন প্রশ্নের মুখে না পড়ে, দিয়েছেন সেই বার্তাও। মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিএলও আসলে রাজ্য সরকারের কর্মী। শুধু মাত্র ভোট এলে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে যান।

    একই সঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়েও সরব তৃণমূল। এর মাধ্যমে এনআরসির পথে হাঁটার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মত তাদের। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যসভায় নোটিস দিলেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। ন্যায্য ভোটারদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের।

    শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, পঞ্চায়েত সচিব, পোস্টম্যান, স্বাস্থ্যকর্মী, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরাই বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও। ভোটার কার্ডে নাম তোলার যে সার্ভে হয়, প্রাথমিক সেই সমীক্ষা করেন বিএলও-রাই।

    গত মঙ্গলবার বীরভূমের এক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বিএলওদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, ভোটার লিস্ট থেকে কারও নাম যেন বাদ না যায় তা দেখার। মনে রাখবেন, আপনারা স্টেট গভর্নমেন্টের চাকরি করেন, অযথা কাউকে হেনস্থা করবেন না।’

    একই সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ‘যোগ্য ভোটারদের কারও নাম বাদ দিলে প্রতিবাদ করবেন। বিএলওকে বলবেন, কেন বাদ গেল, জবাব দাও। আমি জেনুইন ভোটার, আমার নাম বাদ গেলে আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার।’

    যদিও সংবাদমাধ্যমে শমীক জানান, যদি রাজ্য সরকারের কিছু বলার থাকে, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলা। অথচ SIR নিয়ে পার্লামেন্টকে অচল করছে। এই তৃণমূল সরকারের একমাত্র এজেন্ডা, ভুয়ো ভোটার নিয়ে বাংলার ভোট বৈতরণী পার হওয়া।

    শমীকের দাবি, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। ভুয়ো ভোটার, রোহিঙ্গা এসে ভারতে বসে থাকবে, তা হবে না। তাতে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতেই শুধু প্রভাব পড়ে না, ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়।

  • Link to this news (এই সময়)