• রেকি করে খুনের পর দিল্লি রোডের দিকে পালায় দুষ্কৃতীরা! কোন্নগরে তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডে নয়া তথ্য
    প্রতিদিন | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: আটঘাঁট বেঁধে রেকি করে কোন্নগরের তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তীকে খুন? হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল লাগোয়া দিল্লি রোডের দিকে পালায় দুষ্কৃতীরা? তদন্তে নেমে এমন সন্দেহই ক্রমশ প্রকট হচ্ছে তদন্তকারীদের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দু’জন দুষ্কৃতী এই ঘটনায় জড়িত। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরও তথ্যের খোঁজে পুলিশ।

    কোন্নগরের কানাইপুর অটোস্ট্যান্ডের কাছেই তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্নার গ্যাসের গোডাউন। বুধবার সন্ধে সাতটা নাগাদ সেখানেই তিনি ছিলেন। কিছুক্ষণ পর গ্যাসের গোডাউন থেকে বেরিয়ে বাইকে ওঠেন। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন তৃণমূল নেতা। পিছনদিক থেকে প্রথমে তাঁর ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেয় দুষ্কৃতী। ছটফট করতে করতে বাইক থেকে পড়ে যান। এরপর হাতে কোপ দেয়। হাত কেটে বাদ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মুন্নাকে উদ্ধার করে প্রথমে কানাইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। এক কন্যাসন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার তৃণমূল নেতা মুন্নার। গত কয়েকমাস আগে স্ত্রীর হার্ট অ্যাটাক হয়। তিনিও বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার মাঝে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নেমেছে শোকের ছায়া।

    পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতার গ্যাসের গোডাউন থেকে সোজা রাস্তাটি দিল্লি রোডের সঙ্গে সংযুক্ত। মনে করা হচ্ছে, এই রোড দিয়েই দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, নৃশংস ঘটনার নেপথ্যে দু’জন দুষ্কৃতী রয়েছে। তৃণমূল সদস্য খুনের ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দুষ্কৃতীরা কি আগে থেকেই রেকি করে গিয়েছিল এলাকায়? স্থানীয়দের অনুমান, দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপর দিল্লি রোডের দিকে তারা পালায় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল সমাদ্দার বলেন, “পরিবার, পঞ্চায়েত ও গ্যাসের গোডাউনের কাজ নিয়েই সবসময় থাকত। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই কানাইপুর অঞ্চলে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কী কারণে খুন সেটা আমরাও বুঝতে পারছি না।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)