• উত্তমের পর এ বার অসম সরকারের এনআরসি নোটিস পেলেন কোচবিহারের মোমিনা, শোরগোল
    এই সময় | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • উত্তমকুমার ব্রজবাসীর পর এ বার এনআরসি নোটিস পেলেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা মোমিনা বিবি। তুফানগঞ্জের শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাশরাজা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর নোটিস পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এর পরে নতুন করে শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০ বছর আগে অসমের ধুবড়ি জেলায় তাঁর বিয়ে হয়েছিল। যদিও সেই বিয়ে টেকেনি। মাত্র দেড় বছর সংসার করার পরে স্বামীকে ত্যাগ করে কোচবিহারে ফিরে এসেছিলেন এবং নতুন করে বিয়েও করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর দুই ছেলে এবং পূত্রবধূ রয়েছে। মোমিনা বিবি জানান, তাঁর কাছে এই নিয়ে তিন বার এনআরসি-র নোটিস এসেছে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে তিনি এবং তাঁর পরিবার।

    তিনি জানান, বরাবর তিনি কোচবিহারেই ভোট দিয়ে এসেছেন। তার পরেও কেন তাঁকে নোটিস পাঠাল  অসম ফরেন ট্রাইব্যুনাল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী মাসে অসমের ধুবড়িতে মোমিনাকে হাজিরা দিতে হবে সমস্ত নথি সমেত। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে তাঁর পরিবার। 

    এর আগে কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীও এই ধরনের নোটিস পেয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের মঞ্চেও উপস্থিত ছিলেন উত্তম। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  ‘উত্তম আমাদের রাজবংশী ভাই। গত ৫০ বছর ধরে তিনি থাকেন কোচবিহারে। অসম সরকারের কত বড় ঔদ্ধত্য, তাঁকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নোটিস পাঠিয়েছে। বিজেপি সরকার এর জবাব দাও।’ ‘কী ভাবে দিনহাটার মানুষকে অসমের নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়?’, এই প্রশ্নও তুলেছিলেন মমতা। 

  • Link to this news (এই সময়)