স্কুলেই শ্লীলতাহানির শিকার নবম থেকে দ্বাদশের ছাত্রীরা
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের ভূতনি থানা এলাকার একটি হাইস্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির একাধিক ছাত্রী শ্লীলতাহানির শিকার। স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে ভূতনি থানার দ্বারস্থ ছাত্রীর পরিবার। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ভূতনি থানাও।
হাইস্কুলটিতে প্রায় আটশো ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ,কিছুদিন ধরে স্কুলের বেশকিছু ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন ওই শিক্ষক। ছাত্রীরা লজ্জায় এতদিন তাদের পরিবারকে না জানালেও গত ২১ জুলাই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী বাড়িতে বিষয়টি জানায়। পরদিনই প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানানো হয়। তখন পরিবারটিকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলা হয়।
ছাত্রীদের থেকে সম্পূর্ণ বিবরণ শুনে তিনদিনের সময় চেয়ে নেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু অভিযোগ জানানোর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও স্কুল কোনও পদক্ষেপ না করায় বুধবার পুলিসের দ্বারস্থ হয় ছাত্রীর পরিবার। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
ওই ছাত্রীর কথায়, আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক অশালীন আচরণ করছেন। আমরা ভয়ে এতদিন কাউকে কিছু বলিনি। শুধু আমি একা নয়, আরও কয়েকজনের শ্লীলতাহানি করেছেন ওই শিক্ষক।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় ভূতনিতে। স্কুলের সামনে জমায়েত হন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টাও করেন। কিন্তু গেট না খোলায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে ওই শিক্ষকের আচরণে ক্ষুব্ধ তাঁরা। এক ছাত্রীর বাবা বলেন, এখন মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেই ভয় লাগছে। অন্য ছাত্রীরাও ভয়ে স্কুল আসতে চাইছে না। অভিযুক্ত শিক্ষকের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন অভিভাবকরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, ১২ বছর ধরে এই স্কুলে শিক্ষকতা করছি। এরকম অভিযোগ আগে কখনও ওঠেনি। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ছেলেমেয়ের মতো দেখি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। স্কুলে এই ধরনের ঘটনা আগে