দলসিংপাড়া চা বাগানে ফের ফাউলাই চালু করার দাবিতে আন্দোলনে শ্রমিকরা
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বাগান বন্ধ। কিন্তু কাঁচা চা পাতা তোলার কাজ দিব্যি চলছে। বাগান বন্ধ থাকায় এর আগে শ্রমিকরা প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের ফাউলাইয়ের ১৫০০ টাকা করে অনুদানও পেতেন। কিন্তু বর্তমানে চা পাতা তোলার কাজ চলায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সেই টাকাও বন্ধ। ফলে দুর্দশা বেড়েছে কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া চা বাগানের শ্রমিকদের।
ফের ফাউলাই চালুর দাবিতে বৃহস্পতিবার দলসিংপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যার সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে শ্রমিকরা বাগান খোলার দাবিতেও জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেন। শ্রমদপ্তরের আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি লেবার কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করেন তাঁরা। শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদানে নেতৃত্ব দেন কালচিনির বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামা।
শ্রমদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দলসিংপাড়া চা বাগানের মালিক এক বছরের জন্য বাগানটি একজনকে লিজ দেন। তখন থেকেই বাগানটিতে শুধুমাত্র পাতা তোলার কাজ চলছে। শ্রমিকরা তার জন্য নিয়মিত দৈনিক ২৫০ টাকা করে মজুরিও পাচ্ছেন।
দলসিংপাড়া চা বাগানে শ্রমিক সংখ্যা ১১০০। কাগজে কলমে বাগানটি বন্ধ থাকায় রাজ্য সরকার প্রতি মাসে দলসিংপাড়ার শ্রমিকদের জন্য ফাউলাই চালু করেছিল। কিন্তু চা পাতা তোলার কাজ শুরু হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সেই টাকা বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে মাত্র ২৫০ টাকা মজুরিতে শ্রমিকদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাগানে এখন মাত্র ৫০০ জন শ্রমিক পাতা তুলে সংসার চালাচ্ছেন।
বিশাল লামা বলেন, দ্রুত দলসিংপাড়ার শ্রমিকদের বন্ধ থাকা ফাউলাইয়ের টাকা চালু করতে হবে। না হলে শ্রমিকদের নিয়ে ফের আন্দোলনে নামব।
কিন্তু কেন আচমকা ফাউলাইয়ের টাকা বন্ধ হল? শ্রমদপ্তর সূত্রে খবর, বাগানে পাতা তোলার কাজ চলছে। অর্থাত্ বাগান খোলা, এই রিপোর্ট উপর মহলে গিয়েছে। তারপরেই রাজ্য সরকার ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফাউলাইয়ের টাকা বন্ধ রাখে।
তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বড়া ওরাওঁ বলেন, আমরাও চাই রাজ্য সরকার দলসিংপাড়ার শ্রমিকদের ফাইলাইয়ের টাকা ফের চালু করুক। তার জন্য দু’মাস আগে সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্যের কাছে এই দাবি জানানো হয়েছে।
শ্রমদপ্তরের আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি লেবার কমিশনার গোপাল বিশ্বাস বলেন, শ্রমিকদের এই দাবির কথা রাজ্য সরকারের কাছে জানানো হবে। ফাউলাই চালুর দাবি শ্রমদপ্তরে স্মারকলিপি শ্রমিকদের। - নিজস্ব চিত্র।