সংবাদদাতা, বালুরঘাট: প্রবল বৃষ্টিতে বেড়ে গেল আত্রেয়ী খাঁড়ির জল। ওই জল ছেড়ে দিতেই বিপত্তি বালুরঘাট শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট এলাকায়। জলের স্রোতে এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তার জেরে চারটি বাড়ির বাসিন্দারা বাঁধের উপর পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে বুধবার রাত থেকেই জল ছাড়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাঁধে দুই পাড়ার। প্রথমে শহরের গীতাঞ্জলি এলাকায় খাঁড়ির জল ঢুকছিল। ওই পাড়ার যুবকরা এসে স্লুইস গেট খুলতে বাধ্য করে সেচদপ্তরকে। এদিকে সেচ দপ্তর স্লুইস গেট খুলে দিতেই সদরঘাটে জলের গতি বেড়ে যায়। এনিয়ে সদরঘাটের বাসিন্দা প্রতিবাদ জানালে দুই পাড়ার মধ্যে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। যদিও রাতেই পুলিস ও সেচদপ্তরের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটে যায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রবল আশঙ্কায় তাঁদের দিন কাটলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন কেউ খোঁজ নেয়নি। ফলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। যদিও বা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে জল বেড়ে যাওয়ায় স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এলাকায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় চারটি বাড়িতে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাতেই বাড়ি করেছেন। আমরা প্রয়োজনে তাঁদের ফ্লাড শেল্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। পুরো বিষয়টি সেচদপ্তরকে জানিয়েছি। ওই এলাকার উল্টোদিকে কয়েকদিন আগে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা সোনিয়া সাহা, মেনকা ভৌমিক বলেন, বৃষ্টিতে জল বেড়ে যাওয়ায় জল ছাড়া হয়েছে। জল এতটাই গতিতে এসেছে যে আমাদের বাড়িঘর ক্ষতির মুখে পড়েছে। রাতভর আতঙ্কে কাটিয়ে সকালে তৃণমূল পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের কেউ খোঁজ নেননি।
সেচদপ্তর ও পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের মধ্য দিয়ে আত্রেয়ী খাঁড়ি প্রবাহিত হয়ে আত্রেয়ী নদীতে মিশেছে। আত্রেয়ী নদীর আগে জোড়া ব্রিজে স্লুইস গেট রয়েছে। তার আগে গীতাঞ্জলি পাড়ায় বুধবার রাত থেকেই জল ঢুকে পড়েছিল। ফলে স্লুইস গেট খুলে দিতেই বিপত্তি ঘটে সদরঘাট এলাকায়। সেচদপ্তর জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আত্রেয়ী নদীর পাড়ে ভাঙন।-নিজস্ব চিত্র