খুনের ২৪ ঘণ্টা পরও অধরা খুনিরা, মৃতের পরিবারকে সমবেদনা রহিমের
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, চাঁচল: চাঁচলের গোরখপুরে পরিযায়ী শ্রমিক নাহারুল হকের (২৮) নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আতঙ্ক রয়েছেন বাসিন্দারা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও অধরা অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানালেন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি।
গত শুক্রবার নাহারুলের বিয়ে ছিল। সেদিন লুঙ্গি ও টিশার্ট পরা অবস্থায় সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেও না পেয়ে পরদিন থানায় অভিযোগ করে পরিবার। পাঁচদিন পর বুধবার সকালে এলাকার বাঁশবাগানে তাঁর মুণ্ডকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ডাটা কেবল দিয়ে শ্বাসরোধ করে নাহারুলকে খুন করার পর অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়। এমনকী দেহ বিকৃত করে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে কেমিক্যালও ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ। ঘটনাস্থল থেকে ডাটা কেবল ও একটি লুঙ্গিও উদ্ধার করেছে পুলিস। নিহতের মোবাইল ফোনটি বাড়িতেই ছিল। তাঁর কললিস্ট ঘেঁটে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, এক প্রতিবেশী বিবাহিত মহিলার নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, ওই মহিলার সঙ্গে নাহারুলের সম্পর্ক ছিল। সেজন্যই এই খুন হতে পারে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নাকি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিবাদ, তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রহিম বক্সি বলেন, নৃশংস হত্যাকাণ্ড। একজনের পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। পরিকল্পিতভাবে একাধিক ব্যক্তি মিলে নাহারুলকে খুন করেছে। দোষীদের ফাঁসি চাই।
মৃতের বাবা আফিজুল হক বলেন, খুনিরা এখনও ধরা পড়েনি। তাদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দেওয়া হোক।
চাঁচল থানার পুলিস সূত্রে খবর, প্রতিবেশী এক বিবাহিত মহিলা ও তার বাপের বাড়ির পরিবারের মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। থানার এক আধিকারিক বলেন, এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিস মোতায়েন রয়েছে। নিহত পরিযায়ী শ্রমিক নাহারুল হকের বাবার সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। -নিজস্ব চিত্র