• নেই রেজিস্টার, বারোটাতেও বন্ধ গেট প্রধান শিক্ষককে ভর্ৎসনা
    বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক: নেই কোনও রেজিস্টার। বেলা বারোটাতেও স্কুলের মেন গেট থাকে তালাবন্ধ। আগে এসেও সহকারী শিক্ষকদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় স্কুলের বাইরে। গেট খোলার অপেক্ষায় থাকে পড়ুয়ারাও। অভিযোগ, শোভাপুর স্কুলের এই ছবি রোজদিনের। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে মালদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছেও অভিযোগ জানান এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বৈষ্ণবনগরের শোভাপুর স্কুলে এসে নানা অনিয়ম লক্ষ্য করেন জেলার সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক আব্দুল মালেক সহ আরও দুই আধিকারিক। জানা গিয়েছে, স্কুল পরিচালনায় গাফিলতি থাকায় প্রধান শিক্ষক প্রতাপ মণ্ডলকে ভর্ৎসনা করেন তাঁরা।

    সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা স্কুলে এসে  প্রধান শিক্ষকের কিছু ত্রুটি পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, সাত বছর আগে প্রধান শিক্ষক হয়ে প্রতাপ স্কুলে আসার পর থেকে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সময়ে আসেন না। স্কুলে সময়ে খোলে না বলে পড়াশোনা লাটে উঠেছে। ছাত্রছাত্রীদের শৌচালয় বেহাল। সমস্যার কথা বলতে গেলে প্রধান শিক্ষক শুনতে চান না। বাধ্য হয়ে ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান বাসন্তী বর্মনের কাছে অভিযোগ জানান অভিভাবকরা। জানা গিয়েছে, সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক ভর্ৎসনার সুরে প্রধান শিক্ষককে বলেন, আপনি স্কুলের দায়িত্বে, অথচ রেজিস্টার দেখাতে পারছেন না। বারবার বললেও টিএলএম সংক্রান্ত নথিও দেখাচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষক চাবি আনতে ভুলে গিয়েছেন বলে জানালে আরও ক্ষুব্ধ হন ওই পরিদর্শক। বলেন, প্রধান শিক্ষক হয়ে চাবিই আনতে ভুলে যাচ্ছেন!

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন দপ্তরের কর্তারা স্কুলে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁরা বিভিন্ন নথি পত্র দেখতে চান। মিড ডে মিল নিয়েও অভিভাবকদের অভিযোগ আছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস শেখ, মোরসালিম শেখদের বক্তব্য, প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিইে স্কুলের এই হাল। সময়ে গেট খোলা হয় না। স্কুলের পড়ার পরিবেশ নেই। ছেলেমেয়েরাও স্কুলে আসতে চাইছে না।

    এদিন যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। নিয়মিত স্কুলে আসি। আমার নামে অযথা মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। উপ পরিদর্শক দপ্তরে ডেকে পাঠিয়েছেন। সেখানেই যা বলার বলব।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)