• ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু’দিন রোগীদের খাবার দেওয়া বন্ধ
    বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: আচমকা দু’দিন ধরে বন্ধ রোগীদের জন্য বরাদ্দ দুপুর ও রাতের খাবার দেওয়া। ঘটনা ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। ফলে, আত্মীয়রা বাড়ি বা বাইরে থেকে খাবার কিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দু’দিন খাবার দেওয়া বন্ধ ছিল। বুধবার থেকেই তা আবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত সোম ও মঙ্গলবার দুপুরে ও রাতে রোগীদের জন্য বরাদ্দ খাবার দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অনেক রোগীর বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতেনই না। শেষমেশ অবশ্য পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে কিংবা বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে রোগীদের খাওয়াচ্ছিলেন। কেন হঠাৎ খাবার দেওয়া বন্ধ হল? হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের দাবি, তারা জানেই না কেন খাবার দেওয়া বন্ধ করা হয়েছিল। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। 

    এই সমস্যার অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গিয়েছে, ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রান্নার জন্য দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে নির্দিষ্ট একটি সঙ্ঘকে। ওই সঙ্ঘের নির্বাচিত লোক রয়েছেন রান্না করার জন্য। কিন্তু, পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি দু’দিন রান্না করতে আসতে পারেননি। ফলে আর হাঁড়ি চড়েনি হাসপাতালের উনুনে। কেন রাঁধুনি ছুটিতে থাকাকালীন বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি? এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 

    হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী বিমলকৃষ্ণ কর্মকার বলেন, আমি গত রবিবার ভর্তি হয়েছি। আমার বাড়ি থেকেই খাবার আসছে। কারণ এখান থেকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না। কেন দেওয়া হচ্ছে না তার কোনও কারণ আমি জানি না। 

    এবিষয়ে শান্তিপুর ব্লকের বিএমওএইচ পূজা মৈত্র বলেন, সমস্যা হয়েছিল। গত সোম ও মঙ্গলবার হাসপাতালে খাবার রান্না হয়নি। কারণ, যিনি রান্না করেন তাঁর স্বামীর অপারেশন হওয়ায় তিনি দু’দিন আসেননি। দায়িত্বপ্রাপ্ত সঙ্ঘের বিকল্প লোক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তারা দিতে পারেনি। রোগীর জন্য রান্না করা খাবার যেখান সেখান থেকে নিয়ে আসা যায় না। সেজন্য আমাদের পক্ষেও ব্যবস্থা করা যায়নি। তবে, কেন রান্নার জন্য বিকল্প লোক দেওয়া হয়নি তা জানতে চেয়ে আমি ওই সঙ্ঘকে শোকজ করেছি। তারা উত্তর দিলে আমি তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দেব। তারপর সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)