নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: জগদ্দলের কাউগাছি ১ পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর সংসদের নীলতলায় প্লট করে জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য একটি বাগান বিক্রি করা হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সে কারণেই নির্বিচারে কাটা হচ্ছিল বাগানের গাছ। দীর্ঘদিনের এই বাগানটিতে অনেক দামি দামি গাছ রয়েছে। সেই গাছ কাটার অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে। তবে পঞ্চায়েত বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানিয়েছে। আর বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে জেলা বনদপ্তর। কাউগাছি পঞ্চায়েত এলাকায় সুবিশাল বাগানটি জগদীশ মিত্রের বাগান হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। জগদীশবাবুর মৃত্যুর পর জমিটি শরিকদের হয়েছে। সম্প্রতি এই বাগানের পাঁচিলে ফ্লেক্সে ফোন নম্বর দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, ‘জমিটি ছোট বড় প্লটে বিক্রি হবে’। এরইমধ্যে গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন, বাগানের প্রাচীন তিনটি আমগাছ ও একটি নারকেল গাছ কাটা হচ্ছে। এনিয়ে তাঁরা সরব হতেই পুলিস এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। কাউগাছি ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি পঞ্চায়েতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আমরা ঘটনাটি জানতামও না। বিষয়টি প্রশাসনকে জানাবো। বনদপ্তর এনিয়ে ব্যবস্থা নেবে। এরপরই বনদপ্তরের তরফে অভিযুক্তদের নোটিস দিয়ে শুক্রবার রেঞ্জ অফিসে তলব করা হয়। ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার অভিজিৎ কর বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে নোটিস দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -নিজস্ব চিত্র