নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: একমাস ধরে দফায় দফায় নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘরে জল ঢুকেছে। জমা জলে সাপেরও উপদ্রব বাড়ছে। সরকারি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। সেই সুযোগে সক্রিয় হয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাই বাড়ি ফাঁকা থাকায় অনেকেই চুরির আশঙ্কা করছেন। সেই ভয়ে বন্যা পরিদর্শনে আসা প্রশাসন ও পুলিসের কাছে বাড়ির সুরক্ষার দাবি জানালেন ভুক্তভোগীরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সরকারিভাবে ত্রাণ শিবির চলছে ১৭টি। যার বেশিরভাগই বনগাঁয়। এই মহকুমার অন্তর্গত বাগদা, গাইঘাটা, বনগাঁ সহ বেশ কিছু এলাকায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি ত্রাণশিবিরে। কিন্তু, ঘরবাড়ি, জিনিসপত্র ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে উঠে এলেও লুটের আশঙ্কা করছেন রূপা, দিবাকর ও সোমারা। বুধবার বনগাঁর রামনগর, আকাইপুর, পাইকপাড়া ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পুলিস ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে পেয়ে আশ্রিত মানুষরা তাদের উদ্বেগের কথা জানান। করজোড়ে রূপা পাল বলেন, আমরা অসহায়। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় থাকি। তাই, এখানে অসাধু ব্যক্তিরা রাতে ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে যা কিছু আছে তা নিয়ে পালাতে পারে। বিগত বছরগুলিতে এই ঘটনা ঘটেছে। তাই সুরক্ষা চাই। অন্যদিকে, পঞ্চাশোর্ধ্ব দিবাকর বিশ্বাস বলেন, আচমকা জল ঢুকে যাওয়ায় এককাপড়ে বাড়ি ছেড়েছি। কবে ফিরব জানি না। পুলিস যেন আমাদের বাড়ির সুরক্ষা দেয়। দুর্গতদের কথা শোনার পর পুলিস ও প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি দিনে সিভিক ভলান্টিয়ার ও রাতে নাইট পেট্রলিং হবে।