খিদিরপুর বাজারে অস্থায়ী দোকান তৈরি শুরু ক্ষতিপূরণ পেতে জমা ৩৮৭ আবেদন
বর্তমান | ০১ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খিদিরপুর অরফ্যানগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেতে জমা পড়ল ৩৮৭টি আবেদন। স্ক্রুটিনির কাজ প্রায় শেষের পথে। কাদের দোকান পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে এবং কারা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত, সেই ঝাড়াই-বাছাই পর্ব চলছে। প্রাথমিক কিছু জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে বাজার সংলগ্ন ফাঁকা জমিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্থায়ী দোকান তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। জানা গিয়েছে, আপাতত ২৫০টি দোকান তৈরির জন্য তৈরি হয়েছে ডিপিআর। তবে পুরসভার সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে অস্থায়ী দোকানের সংখ্যাটা ৩২০টির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। যতক্ষণ না পর্যন্ত স্ক্রুটিনি সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ সেই সংখ্যাটা বলা যাচ্ছে না।
এই কাজগুলি দ্রুত শেষ করতে পুরসভার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যেখানে অস্থায়ী দোকানগুলি তৈরি করা হবে, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে প্রাথমিকভাবে কিছু বাধা এসেছিল। সেই ঝামেলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। যদিও সেই মামলায় পুরসভা জিতে গিয়েছে বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের। তারপরেই ওই ফাঁকা জমিতে অস্থায়ী দোকান তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কতগুলি দোকান তৈরি হবে, কোথায় কোথায় হবে, তার প্ল্যান ধরে ভিত কাটার কাজ চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে সেই কাজ গতি হারাচ্ছে বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ৯ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান দেবলীনা বিশ্বাস বলেন, জমা পড়া আবেদনপত্রগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কটি দোকান পুরোপুরি পুড়েছে এবং কতগুলি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত, সেই তালিকাও তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট ফাঁকা জমিতে অস্থায়ী দোকান তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। আমরা যতটা সম্ভব দ্রুত অস্থায়ী দোকান বানিয়ে দোকানদারদের পুনর্বাসন দিতে চাইছি। কিন্তু ওই জমি নিয়ে কোর্টে মামলার জেরে গোটা প্রক্রিয়া অনেকটাই পিছিয়ে যায়। যদিও আদালতে আমরা জিতে গিয়েছি। তারপর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই এই টানা বৃষ্টির জেরে কাজ বাধা পাচ্ছে।
খিদিরপুর পুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের এক লক্ষ টাকা এবং অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে রাজ্য। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের নথিপত্র সহ আবেদন জমা করতে বলা হয়েছিল। পুরসভা সূত্রে খবর, ৩৮৭টি আবেদন জমা পড়েছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যে কাগজ জমা পড়েছে তার সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে বর্তমান মালিকের নামের কোনও মিল নেই। কারণ, দোকান হস্তান্তর হয়েছে। এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যাঁদের নথিপত্র নিয়ে সমস্যা নেই, তাঁদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পুনর্বাসনের ক্ষেত্রেও তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।