এ রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী তরুণ-তরুণীদের বহু প্রতীক্ষিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল অবশেষে ৭ অগস্ট বেরোতে চলেছে বলে জানালেন বোর্ডের চেয়ারপার্সন সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.in, এই দুই ওয়েবসাইটে ফল বেরোবে।
প্রসঙ্গত, জয়েন্টের পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ এপ্রিল। গত ৫ জুন ফল বেরোনোর প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। তবে ওবিসি মামলা সংক্রান্ত জটিলতার জেরে জয়েন্টের ফল প্রকাশ আটকে ছিল বলে সূত্রের দাবি। তবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড পরিচালিত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রবেশিকার ফল প্রকাশের বিষয়টি এখনও তিমিরেই।
এ দিন সোনালি জানান, গত ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট রায়ে রাজ্যের সাম্প্রতিক ওবিসি নীতি নিয়ে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেওয়ার পরেই তাঁদের কাছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ আসে। তিনি বলেন, “আমরা বুধবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করি। তাতে বলা আছে, পরীক্ষার্থীরা যেন তাঁদের সামাজিক শ্রেণি সংক্রান্ত তথ্য যোগ করেন। এর জন্য নির্দিষ্ট লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে।” বোর্ডের তরফে ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থীদের এসএমএস করা হয়েছে। সোনালি বলেন, “আপডেটেড তথ্য পেয়ে আশা করা যায় ফল প্রকাশের প্রস্তুতি সারতে পারব।” বোর্ড সূত্রের খবর, পরীক্ষার্থীদের সামাজিক শ্রেণি সংক্রান্ত তথ্য পরে ভর্তির সময়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাচাই করে নেবে।
ইতিমধ্যে আইআইটি এবং কিছু এনআইটি-র ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। শিবপুরের আইআইইএসটি-তেও অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা অবশ্য মনে করেন, জয়েন্টের ফল প্রকাশের পরে দ্রুত কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সারা না গেলে পঠনপাঠন ধাক্কা খাবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউন্সেলিং পর্ব আলাদা ভাবে করার অনুমতি চেয়েছিলেন। সেই আবেদনে কার্যত সাড়া দেয়নি উচ্চশিক্ষা দফতর। এ দিন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড বলেছে, “আগে ফল বেরোক। তার পরে কাউন্সেলিং নিয়ে ভাবা যাবে।”
প্রেসিডেন্সির পরীক্ষার্থীদেরও কি সামাজিক শ্রেণি সংক্রান্ত তথ্য যোগ করতে বলবে বোর্ড? বিষয়টি এ দিন স্পষ্ট হয়নি। প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত এক অধ্যাপকের কথায়, “গত কয়েক মাসে বোর্ড এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় বার বার যোগাযোগ করেছে। পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্য তো জয়েন্ট বোর্ডেরই হাতে। এই পরিস্থিতিতে অসহায় বোধ করছি।” শিক্ষক, ছাত্রেরা বার বার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছেন। স্নাতকে ভর্তির এই টালবাহানা চললে বহু ভাল শিক্ষার্থী প্রেসিডেন্সিতে পড়া থেকে বঞ্চিত হবেন বলে এ দিনই অবস্থান শুরু করেছে এসএফআই।