মহমেডানের বিরুদ্ধে জয় ১০ জনের মোহনবাগানের, সবুজ-মেরুন শিবিরের নায়ক লিস্টন
আনন্দবাজার | ০১ আগস্ট ২০২৫
কলকাতা লিগের ডার্বি হারলেও ডুরান্ড কাপের বড় ম্যাচে জয় পেল মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে মহমেডান স্পোর্টিংকে ৩-১ গোলে হারাল ১০ জনের সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সাদা-কালো ব্রিগেডের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো। নিজে দু’টি গোল করলেন। সুহেল ভাটকে দিয়ে গোলও করালেন।
ডায়মন্ড হারবার এফসি-মহমেডান ম্যাচ দেখতে গিয়ে যুবভারতীতে প্রতিপক্ষকে মেপে এসেছিলেন বাস্তব রায়। মোহনবাগানের সহকারী কোচের (ডুরান্ড কাপে তিনিই কোচ) হোমওয়ার্ক প্রায় বেকার করে দিয়েছিল আপুইয়ার হঠকারী আচরণ। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে একটি ফাউলের জন্য অকারণ মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখলেন। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনে খেলতে হয় মোহনবাগানকে। যদিও জয় পেতে সমস্যা হল না আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের।
মহমেডানকে হালকা ভাবে নেননি বাস্তব। সিনিয়র ফুটবলারদের নিয়েই দল সাজিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপট ছিল মোহনবাগানের। সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে খেই পাচ্ছিলেন না মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুর ফুটবলারেরা। ২২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন। এগিয়ে যাওয়ার পরও আগ্রাসী ফুটবল থেকে সরেনি মোহনবাগান। এই সময় মহমেডান মূলত প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলছিল। গোলের একাধিক সহজ সুযোগ কাজেও লাগাতে পারেননি সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। পারলে আরও বড় ব্যবধানে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত বাস্তব রায়ের দল। লিস্টনের গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের মোহনবাগানকে পেয়ে কিছুটা সাহসী ফুটবল খেলতে শুরু করেন মহমেডান ফুটবলারেরা। তুল্যমূল্য লড়াইয়ের চেষ্টা করেন তাঁরা। সুফলও মেলে। ৫০ মিনিটে অ্যাশলে সমতা ফেরান মহমেডানের হয়ে। যদিও তাতে লাভ কিছু হয়নি। মাঝমাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। ৬২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে লিস্টনের দৌড় প্রতিপক্ষের তিন জন ফুটবলারকে ছিটকে দেয়। বক্সের মধ্যে সুহেলকে বল সাজিয়ে দেন লিস্টন। সামনে মহমেডানের গোলরক্ষক একা পেয়েও প্রথম প্রচেষ্টায় গোল করতে পারেননি সুহেল। গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফিরে আসা বল পেয়ে অবশ্য গোল করতে ভুল করেননি। এর ৪ মিনিট পরেই গোলের সামনে আরও একটি বল তাঁকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন কিয়ান নাসিরি। গোল করতে পারেননি সুহেল। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ নষ্ট করেন মহমেডান ফুটবলারেরাও। একাধিক বার মোহনবাগানকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথও। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। ৯৫ মিনিটে বক্সের মধ্যে দীনেশ ফাউল করেন লিস্টনকে। লিস্টন নিজেই পেনাল্টি নেন। দলের হয়ে তৃতীয় গোল করতে ভুল করেননি।
ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে জয়ের মাঝেও চিন্তা থেকে গেল সবুজ-মেরুন শিবিরে। প্রথমত লাল কার্ড দেখায় পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না আপুইয়া। দ্বিতীয়ত, ম্যাচের শেষ দিকে চোট পেলেন সুহেল। তাঁর গোড়ালি ঘুরে গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।