সুবীর দাস, কল্যাণী: নদিয়ার চাকদহ-বনগাঁ রাজ্য সড়কের জমা জল নিয়ে বিক্ষোভে শোরগোল এলাকায়। বামেদের প্রতিবাদের পর শুক্রবার জমা সাঁতার কাটলেন বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। রাজ্য সড়কে সামনা-সামনি বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান উত্তাল হয়ে ওঠে রঞ্জনপল্লি। বিধায়ক বলেন, “কয়েক বছর ধরে এই রাস্তার হাল বেহাল। যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগে পড়ে। কিন্তু রাস্তা সাড়াই হয়নি।” তৃণমূলের দাবি জমা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। চাকদহের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক মণ্ডল বলেন, “নাটক করছে বিজেপি। এই রাস্তা ঠিক করতে অনেক টাকা লাগবে। প্রশাসনের শীর্ষস্তরে আমাদের কথা হয়েছে। পুজোর পরই কাজ শুরু করা হবে।”
লাগাতার বৃষ্টির জেরে চাকদহ চৌমাথা থেকে রথতলা পর্যন্ত রাস্তায় জল জমে রয়েছে। সেই জমা জল নিয়ে শুরু রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। আজ, শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপির বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন কর্মী সমর্থকরা। রাস্তার জমা জলে ছিপ ফেলে প্রতীকী মাছ ধরেন বিধায়ক। সেই জমা জলে বসেও পড়েন। পরে সাঁতার কাটেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
জড়ো হন কিছু তৃণমূল কর্মীও। ‘জয় বাংলা’র পালটা ‘জয়শ্রী রাম’ স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। চাকদহ চৌমাথা গিয়ে মিছিল শেষে বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ দাবি করেন, “গত পাঁচ বছর যাবৎ এই জল যন্ত্রয়াণ ভুগছেন এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই সমস্যা ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে সমাধান না হলে, ভোট বাক্সে শাসকদলকে মানুষ উত্তর দেবে।” বিজেপি ক্ষমতায় এলে ছয় মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
পালটা দিয়ে চাকদহের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক মণ্ডল বলেন, “আমরা জানি এই রাস্তার গুরুত্ব কতটা। এই রাস্তা সিপিএমের আমলে বেহাল হয়েছিল। বঙ্কিমবাবু দীর্ঘদিন বিধায়ক, তাঁর তহবিল থেকে ঠিক করা হয়নি কেন?” কিন্তু তৃণমূলের আমলে রাস্তার হাল ফিরছে না কেন? অশোকবাবু বলেন, “যেহেতু রাস্তাটা তৈরি করতে বড় অঙ্কের টাকা প্রয়োজন তাই একা পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে তা সম্ভব নয়। আমরা উচ্চমহলের সঙ্গে কথা বলেছি। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা পরিদর্শনও করেছে। পুজোর পর কাজ শুরু হবে। আমরা মানুষের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সচেতন। বিজেপি নাটক করছে।”