• শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত, আজ ভারী-অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, কালিম্পংয়ে রাস্তায় ফাটল
    বর্তমান | ০২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: এবার জলপাইগুড়ির প্লাবিত গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তাঁর নির্দেশে প্লাবিত গ্রামগুলিতে ত্রাণ পাঠিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। এদিকে, শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায় আজ, শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলে। ইতিমধ্যে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। এনিয়ে শঙ্কিত পাহাড় ও  সমতলের নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। 

    তিস্তা নদীর জলে জলপাইগুড়ি জেলা ও কোচবিহারের হলদিবাড়ি ব্লকের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ গ্রাম থেকে নেমেছে নদীর জল নামলেও ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি ও মাল ব্লকের টোটাগাঁও গ্রাম দু’টির অবস্থা শোচনীয়। সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলির একাংশ এখনও জলমগ্ন। জমি ও বাড়ি জলের তলায়। ১০০ দিনের কাজ না থাকায় দুর্গতরা চরম সমস্যায়। এদিন শিলিগুড়ির মেয়রের মাধ্যমে ছোট ট্রাক ভর্তি ত্রাণ ওই দুর্গতদের কাছে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, মাল মহকুমা প্রশাসনও ত্রাণ নিয়ে ওই গ্রামগুলিতে যান। যার নেতৃত্বে ছিলেন মাল মহকুমা শাসক শুভম কুন্ডাল, ক্রান্তির বিডিও রিমিল সোরেন সহ অন্যরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ক্রান্তির সাহেববাড়ি ও পশ্চিম দলাইগাঁওয়ের মোট ৮০ বানভাসি পরিবারে একটি করে প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে চিঁড়ে, মুড়ি, গুড়, দুধ, বিস্কুট, চিনি, চা পাতা, লবন ও পাঁচ কেজি করে চাল রয়েছে। 

    শিলিগুড়ির মেয়র বলেন, কয়েকদিন আগে ওই গ্রামগুলিতে গিয়ে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ পাঠিয়েছেন। তা ২৫০ জনের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। এনিয়ে দুর্গতরা খুশি। তাঁদের বক্তব্য, এই দুর্দিনে অন্যরা গ্রামের ছায়া মরাননি। কিন্তু রাজ্য সরকারের ত্রাণে বেঁচে আছি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঋণ ভোলার নয়। 

    এদিকে, আজ সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায় মৌসুমি অক্ষরেখা স্বাভাবিক অবস্থান থেকে উত্তর দিকে উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্পের আগমন হয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা এবং বাকি জেলাগুলিকে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাহাড়ে ধস নামার পাশাপাশি তিস্তা সহ বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বাড়তে পারে। 

    অন্যদিকে, ‘সিংকিংজোন’ হওয়ায় কালিম্পংয়ের লাভা-আলগারা রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে খাদের দিকে রাস্তাটির বিশাল অংশজুড়ে দেখা দিয়েছে ফাটল। রাস্তার সেই অংশে পোঁতা হয়েছে লাল ঝান্ডা। প্রশাসন জানিয়েছে, রাস্তাটি মেরামত করার প্রস্তাব এনএইচআইডিসিএলের কাছে পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)