নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: শেষপর্যন্ত অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে গত ৭ মার্চের এটিএম লুটের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল রায়গঞ্জ থানা। শহরের জেলখানা মোড়ের সেই ঘটনাস্থল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারের সামনে আনা হয় ধৃতদের। অভিযুক্তরা কোন দিক থেকে এটিএম কাউন্টারের সামনে পৌঁছেছিল? তখন কতজন ছিল? লুটের সময় কী রঙের গাড়ি ব্যবহার হয়েছে? এমন বহু খুঁটিনাটি তথ্য শুক্রবার এই পুনর্নির্মাণ পর্বে পুলিস জেনে নেয় অভিযুক্তদের থেকে।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, অভিযুক্তরা যেহেতু পেশাদার, তাই তাদের কাছ থেকে তথ্য জানতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। তবে তদন্ত ঠিক পথেই এগচ্ছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ভিনরাজ্যের তিনজনকে সম্প্রতি আমরা সংশোধনাগার থেকে নিজেদের হেফাজতে এনেছি। পাঁচ মাস আগের এটিএম লুটের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে এদিন।
বিগত ৭ মার্চ রাতে একযোগে ইটাহার ও রায়গঞ্জের দুটি এটিএম থেকে সর্বমোট ৪৮ লক্ষ টাকা লুঠ হয়। যা নিয়ে রায়গঞ্জ পুলিস তদন্তে নেমে সেসময় দু’জনকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু এটিএম লুটে মূল চক্রীদের সেসময় হদিস পাওয়া যায়নি। যারা এটিএম সংলগ্ন সিসি ক্যামেরায় কালো স্প্রে করা ও গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএমের লকার কেটে ফেলার মতো ঘটনা ঘটিয়ে নগদ লুট করে পালায়। তবে কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিসের হাতে গত মাসে এটিএম কাটার গ্যাংয়ের তিন মূল সদস্য ধরা পড়ে। তারা হল নরেশ রাম ওরফে রাজু, ইরফান খান ওরফে ছাতি, মহম্মদ সামসের। পুলিস জানায়, এরা তিন জনই ইটাহার ও রায়গঞ্জে এটিএম লুটে মূল কারিগর। এরপরই জলপাইগুড়ি পুলিসের তদন্তপর্ব মিটতেই প্রথমে ইটাহার থানার পুলিস তিন জনকে হেফাজতে নেয়। তদন্ত করে। সেই পর্ব মিটতেই এবার রায়গঞ্জ থানা রাজু, ইরফান, সামসেরকে হেফাজতে নেয়। এবং এদিন এটিএম লুটের পুনর্নির্মাণ করা হল। এটিএম লুটের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে আনা হয় ধৃতদের।-নিজস্ব চিত্র