গুলন্দরে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ
বর্তমান | ০২ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, ইটাহার: চায়ের দোকানে আচমকা তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন ওই তৃণমূল কর্মী। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ইটাহারের গুলন্দর বাজার এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন আলমকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। ধৃতের বাড়ি পুখুরিয়া এলাকায়। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল এবং ছ’রাউন্ড কার্তুজ। পুলিস জানিয়েছে, পুরনো বিবাদের জেরে এই ঘটনা। মোহবুল হক তৃণমূল কর্মীর পাশাপাশি ঠিকাদারি করেন। সাহাবুদ্দিনের হার্ডওয়ারের দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলন্দরে তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি শেষে মোহবুল বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সেই দোকানে ছিল সাহাবুদ্দিনও। অভিযোগ, দোকানেই সুযোগ বুঝে সাহাবুদ্দিন কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে মোহবুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মোহবুলের গালের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপরই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সাহাবুদ্দিনের হাত চেপে ধরে মাটিতে পড়ে যান মোহবুল। আশপাশের মানুষ সাহাবুদ্দিনকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইটাহার থানার পুলিস। পুলিস আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ সহ ধৃতকে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনায় গালে ক্ষত হয়েছে মোহবুলের। তাঁর দাবি, আমাকে লক্ষ্য করে সাহাবুদ্দিন হঠাৎ গুলি চালায়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও গুলি আমার গাল ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিস নিরপেক্ষ তদন্ত করুক, চাইছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি কার্তিক দাস। সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে মোহবুলের জমি বিবাদ ছিল। তা মিটেও গিয়েছে। তবে সেই আক্রোশ থেকে এই ঘটনা হতে পারে বলে দাবি মোহবুলের। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এসডিপিও নীলেশ শ্রীকান্ত গায়কোয়াড জানান, গুলি চালানোর অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার হয়েছিল। একটি পিস্তল ও কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পুলিস বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ধৃতকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে ইটাহার থানার পুলিস।-নিজস্ব চিত্র