নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: রাতে বালিবোঝাই ডাম্পার চেক করার সময়ে আক্রান্ত হলেন ভূমিদপ্তরের অফিসার ও কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বুড়ারিতে ওই ঘটনা ঘটে। ওই অভিযানে ব্লক ভূমি আধিকারিক সুমন চক্রবর্তী নিজে উপস্থিত ছিলেন। বালিবোঝাই ওই ডাম্পারের চালক ও খালাসি ভূমিদপ্তরের অফিসার ও কর্মীদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মেরে ডাম্পারটি পালানোর চেষ্টা করে। ওই ডাম্পার বেপরোয়া গতিতে তমলুকের দিকে এগিয়ে যায়। জানুবসানের কাছে এক জায়গায় ডাম্পার থেকে বালি নামিয়ে ড্রাইভার ও খালাসি একজনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেই বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পর লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শুক্রবার শহিদ মাতঙ্গিনীর ব্লক ভূমি অফিসার সুমনবাবু গোটা ঘটনায় তমলুক থানায় এফআইআর করেছেন। জেলাজুড়ে অবৈধভাবে বালি পরিবহণের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) বৈভব চৌধুরী। সেইমতো শহিদ মাতঙ্গিনী, কোলাঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সেরকমই এক অভিযানে অংশ নেওয়া ভূমিদপ্তরের অফিসার ও কর্মীরা আক্রান্ত হন। ডাম্পার ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করায় বড়সড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) এবং পুলিস অফিসাররা জানুবসানে যান।
শুক্রবার কোলাঘাটে শরৎ সেতুর নীচেও অবৈধ বালি পরিবহণের বিরুদ্ধে পুলিস ও ভূমিদপ্তরের যৌথ অভিযান চলে। বেশকিছু লরি আটক করা হয়। বৈধ নথি ছাড়াই জেলার বিভিন্ন জায়গায় নদী থেকে বালি ও মাটি কেটে দেদার লুট চলছে বলে অভিযোগ। এরফলে রাজস্ব মার খাচ্ছে। ওই বিষয়টি নজরে আসার পরই জেলাজুড়ে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসার।
শহিদ মাতঙ্গিনীর ব্লক ভূমি অফিসার বলেন, আমরা বুড়ারিতে বালি ও মাটিভর্তি গাড়ি চেক করছিলাম। সেই সময়ে একটি বালিভর্তি ডাম্পার মেচেদার দিক থেকে তমলুকের দিকে আসছিল। চালান দেখতে চাওয়ায় আমাদের উপর চড়াও হয়। তারপর বেপরোয়া গতিতে গাড়ি নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। আমরা পিছু নিই। একসময় আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মারার চেষ্টা হয়। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারত। জানুবসানের কাছে ডাম্পার থেকে বালি নামিয়ে ড্রাইভার ও খালাসি একজনের বাড়িতে ঢুকে তালা মেরে লাইট বন্ধ করে দেয়। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন অফিসারদের নজরে আনা হয়। পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আমি থানায় এফআইআর করেছি।