• মাড়গ্রাম পোস্ট অফিসে মেলে না প্রয়োজনীয় পরিষেবা, সংসদে সরব সাংসদ শতাব্দী রায়
    বর্তমান | ০২ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: ষাট হাজারের বেশি মানুষের বাস মাড়গ্রামে। কিন্তু এই বিরাট সংখ্যক মানুষ পোস্ট অফিসের সুপরিষেবা থেকে বঞ্চিত। অভিযোগ, পোস্ট অফিসে যথাযথ পরিষেবা মেলে না। গত মঙ্গলবার এই নিয়ে লোকসভায় সরব হন সাংসদ শতাব্দী রায়ও। 

    পোস্ট অফিসের নিজস্ব বিল্ডিং নেই। মাড়গ্রামে লাইব্রেরির একটা ঘরে চলে এই শাখা ডাকঘর। কর্মীর সংখ্যাও কম। পোস্ট মাস্টার, পিওন মিলিয়ে রয়েছেন মাত্র তিনজন কর্মী। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই অব্যবস্থা। বার বার অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি। পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে আরডি, সেভিংস, সুকন্যা, ফিক্সড ডিপোজিট, আরপিএলআই ছাড়া অন্য কোনও সুবিধা মেলে না। কেউ ২০ হাজারের বেশি টাকা তুলতে চাইলে তা সম্ভব হয় না। ৫০ হাজারের বেশি টাকা জমাও করা যায় না। ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রেও ৫০ হাজারের বেশি জমা হবে না। ফলে সমস্যায় গ্রাহকরা। অথচ এলাকায় এমআইএস, সিনিয়র সিটিজেন, পিপিএফ, ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম, কিষাণ বিকাশ পত্রের চাহিদা রয়েছে। 

    গ্রামের বাসিন্দা, খন্দেকার আরাফ আহমেদ বলেন, শুনছি ডাকঘরগুলিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। শুধু চিঠি নয়, সাধারণ মানুষের জন্য বহু পরিষেবা চালু হয়েছে। কিন্তু কোথায়? গ্রামে পোস্ট অফিস থেকেও না থাকার মতো। গ্রামীণ এলাকা, অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। অথচ এখানে কিষাণ বিকাশ পত্রের মতো পরিষেবা মেলে না। যার জেরে আমাদের মতো বহু গ্রাহককে ভুগতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে নিজের জমানো টাকাও ইচ্ছেমতো তোলা যায় না।  গত মঙ্গলবার মাড়গ্রামের নাম উল্লেখ করে পোস্ট অফিসগুলির পরিষেবা নিয়ে লোকসভায় সোচ্চার হন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, মাড়গ্রাম সহ আরও কিছু পোস্ট অফিস নিয়ে বলতে চাই। ই মেল, হোয়াটসঅ্যাপের যুগে চিঠির কোনও মূল্য নেই ঠিকই। কিন্তু চিঠি ছাড়াও পোস্ট অফিসে অনেক কাজ আছে যা মানুষের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তা হচ্ছে না। আমার সংসদ এলাকায় বেশ কিছু পোস্ট অফিস বেহাল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে যাওয়া হলে তিনি এমপি ল্যাড থেকে করে দেওয়ার জন্য বলছেন। কিন্তু এমপি ল্যাড মাত্র পাঁচ কোটি টাকা। তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা। তার উপরে যদি পোস্ট অফিসগুলি সংস্কারের বিষয়টি আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কিছুই করতে পারব না। সে ক্ষেত্রে এমপি ল্যাড বাড়িয়ে দেওয়া হোক। নতুবা সংশ্লিষ্ট দপ্তর উদ্যোগী হোক। 

    এদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন পোস্ট মাস্টার বেবি মণ্ডল। তিনি বলেন, এখানে অনেক অসুবিধে আছে। কারও জরুরি প্রয়োজনে টাকা লাগলে দিনে ২০ হাজারের বেশি দিতে পারি না। বেশি হলে বসোয়া সাব পোস্ট অফিসে রিকোয়েস্ট পাঠাতে হয়। অথবা গ্রাহকদের পরের দিন আসতে হয়। জমার ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। অনেক স্কিম রয়েছে। মানুষের দিন দিন চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু মেটানো যাচ্ছে না। এটা সাব পোস্ট অফিস হলে ভালো হয়। তাহলে সমস্ত পরিষেবা মানুষ পাবেন।  - ফাইল চিত্র 
  • Link to this news (বর্তমান)