নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ই এম বাইপাসে যানজটে নাকাল হলেন শহরবাসী। চিংড়িঘাটা থেকে রুবি মোড় পৌঁছতে কার্যত কালঘাম ছুটেছে যাত্রী থেকে গাড়িচালকদের। জুলাই মাসে একটানা বৃষ্টি হওয়ায় ই এম বাইপাস খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। আম্বেদকর ব্রিজে ওঠার মুখে পিসি চন্দ্র গার্ডেনের সামনে রাস্তার হাল খুব খারাপ। বাইপাসের এই অংশে জল জমে রাস্তায় একাধিক বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যানবাহনের গতি শ্লথ হয়েছে। একই অবস্থা মেট্রোপলিটনের কাছে। এর জেরে চিংড়িঘাটা থেকে আম্বেদকর ব্রিজ পর্যন্ত গাড়ি চলেছে শম্বুক গতিতে।
বৃহস্পতিবার মাঝরাতে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা রাস্তা মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন। কিন্তু তাতেও খুব যে সুরাহা হয়েছে, তা নয়। সেক্টর ফাইভ থেকে রুবি আসতে কমপক্ষে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যাচ্ছে। প্রতি বছর প্রাক বর্ষার মরশুমে কলকাতায় রাস্তা মেরামতির কাজ হয়। এবার সেটা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে ভাঙাচোরা রাস্তা আরও বেহাল হয়েছে। পাশাপাশি জুলাই মাসে মাত্রাছাড়া বৃষ্টি বাইপাস সহ কলকাতার সিংহভাগ রাস্তাকে বেহাল করে তুলেছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, দিন দশেক টানা রোদ উঠলে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হবে।
বাইপাসে নিত্য যানজটের জেরে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছেন বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা। বিমান ধরতে হলে বাড়তি সময় হাতে নিয়ে পথে না নামলে ফ্লাইট ‘মিস’ হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। তবে শুক্রবার যানজট মোকাবিলায় দক্ষিণমুখী যানবাহনের জন্য আলাদা চ্যানেল তৈরি করে পরিস্থিতির মোকাবিলার চেষ্টা করে ট্রাফিক পুলিস। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। কারণ, খানাখন্দে ভরা বাইপাসে স্বাভাবিক গতিতে চলছে পারছে না কোনও গাড়ি। গর্তের কারণেই বহু জায়গায় সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। ফলে গাড়ির সারি ক্রমেই দীর্ঘ হয়েছে।