নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে পরিচয় করে যুবকদের ডেকে পাঠাত হোটেলে। চা অথবা ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে যুবকদের সর্বস্ব লুট করত এক ‘ঠগিনি’। এয়ারপোর্ট থানার পুলিস অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেপ্তারও করেছিল। ওই কাণ্ডে মিলল এবার বাংলাদেশি যোগ! ডেটিংয়ে লুট করা মোবাইল বাংলাদেশে বিক্রি করত ধৃত ঠগিনি! বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ভারতে ফোন কিনতে আসত এক বাংলাদেশি যুবক! তরুণীর কাছ থেকে তার নাম জানার পর ওই বাংলাদেশি যুবককে গ্রেপ্তারও করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার দমদম স্টেশন চত্বর থেকে মহম্মদ মামুদুল হাসান নামে বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেরায় সে মোবাইল কেনার কথা স্বীকারও করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ বারাকপুরের এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৭ জুলাই এয়ারপোর্ট থানার পুলিস জিয়া সিং তথা রমা কুমারী সাউ নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করে। আসল নাম রমা হলেও ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে সে ভুয়ো নাম জিয়া সিং ব্যবহার করত। ওই সাইটে বিভিন্ন যুবকদের সঙ্গে পরিচয় করে বন্ধুত্ব করত। তারপর ডেটিংয়ের জন্য যুবকদের হোটেলে ডাকত ওই তরুণী। চা ও অথবা ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে যুবকদের অচেতন করত। তারপর যুবকদের কাছে থাকা মোবাইল, নগদ টাকা সহ সর্বস্ব লুট করে পালাত। নিউ বারাকপুরের যুবক এয়ারপোর্টের একটি হোটেলে ওই তরুণীর সঙ্গে ডেটিংয়ে এসে একই প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন।
পুলিস জানিয়েছে, ঠগিনিকে জেরা করেই জানা যায়, সে বাংলাদেশের মামুদুল হাসানকে লুটের মোবাইল বিক্রি করত। নিউ বারাকপুরের প্রতারিত যুবকের ফোনটিও মামুদুলই কিনেছে। তরুণী জানায়, সে এখন কলকাতায় আছে। সেই সূত্র পেয়েই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত যুবকের বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহিতে। তার কাছ থেকে বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা মিলেছে। জেরায় সে জানিয়েছে, ঠগিনির সঙ্গে ‘ওএলএক্সে’র মাধ্যমে তার প্রথম আলাপ। তারপর মোবাইল কিনতে পাসপোর্ট নিয়ে সে কলকাতায় আসত। এখনও পর্যন্ত সে তরুণীর কাছ থেকে ১০টি ফোন কিনেছে। মোবাইল কিনতে যখন আসত, তখন কলকাতার বিভিন্ন লজ ও গেস্ট হাউসে সে উঠত। বর্তমানে সে পার্কস্ট্রিট এলাকার একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিল। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশিকে ৬ দিনের পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।