• জলবন্দি বিটি রোড, বন্ধ বহু স্কুল! কামারহাটিতে দুর্ভোগ চরমে
    বর্তমান | ০২ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর, বারাকপুর ও সংবাদদাতা, কল্যাণী: জল যন্ত্রণায় নাজেহাল কামারহাটির বাসিন্দারা। বিটি রোডের পাশাপাশি শহরের অলিগলির রাস্তা, স্কুল, বসতবাড়ি জলমগ্ন। এখনও রাস্তায় হাঁটু সমান জল। জল জমে থাকায় বহু স্কুলে অলিখিত ছুটি চলছে। পানীয় জল সংগ্রহ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এলাকাবাসীর ক্ষোভ চরমে ওঠায় বৃহস্পতিবার রাতে নন্দননগরের জলবন্দি এলাকা পরিদর্শনে যান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। তাঁরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটিতে জল নিকাশি ব্যবস্থা বহুদিন ধরে বেহাল। এমনকী, নোংরা আবর্জনায় দাঁতিয়া খাল কার্যত অবরুদ্ধ। ফলে কামারহাটির প্রবর্তক জুট মিল থেকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হয়ে রথতলা পর্যন্ত ডানলপগামী লেনের বড় অংশ এখনও জলের তলায়। বিটি রোডের পাশে থাকা হাইড্রেনের জল বিটি রোড ধরে বইছে। ড্রেনের উপরে সারি দিয়ে তৈরি হয়েছে একের পর এক দোকান। নন্দননগর এলাকা জলবন্দি। নন্দননগর ঝিল ভেসে গিয়েছে। ঝিল পাড়ের রাস্তার উপর হাঁটু সমান জল। ওই এলাকার ৩০, ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বহু জায়গা জলের তলায়। নন্দননগর নিউ কলোনি প্রাথমিক বিদ্যা নিকেতন, কামারহাটি নতুন চক্র,  মৈত্রী সংসদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো বহু স্কুলে জল উঠে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকে শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা। একইভাবে আড়িয়াদহ এলাকায় জল যন্ত্রণা চরমে। ১১, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুমুদ ঘোষাল রোড, রামগড়, ফিডার রোডের একাংশ জলের নীচে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে ভাঙাচোরা রাস্তার সমস্যা। বহু বাড়িতে ইলেকট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, দাঁতিয়া খাল ও বাগজোলা খালে জলের চাপ অনেক বেশি। শহরের জল বের হচ্ছে না। উল্টে খালের জল অনেক জায়গায় শহরে ঢুকছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা জলে ডুবে রয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার বিকেলে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। ঘণ্টা দুয়েকের বৃষ্টিতে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। টিটাগর বাজারে এক হাঁটু জল হয়ে যায়। বারাকপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যায়। ভাটপাড়া ৩১ এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এদিকে, চাকদহে রাজ্য সড়কের জমা জলে দিনের পর দিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই রাস্তার জমা জলে শুক্রবার সাঁতার কেটে প্রতিবাদ জানালেন চাকদহ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। গতকাল একই জায়গায় বামেরাও নৌকা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিধায়ক হিসেবে বঙ্কিমবাবু কেন এই রাস্তার দায়িত্ব নিচ্ছেন না। পুজোর পর রাস্তার কাজ শুরু করবে প্রশাসন। 
  • Link to this news (বর্তমান)