• রামপুরহাট স্টেশনের সাইনবোর্ডে হিন্দিকে গুরুত্ব, সমালোচনার ঝড়
    এই সময় | ০২ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়, রামপুরহাট: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞার অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। প্রতিবাদে সম্প্রতি বোলপুরে মিছিলে হেঁটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবহে রামপুরহাট স্টেশনে কেন্দ্রীয় সরকারেরই নির্দেশ অমান্য করে বাংলা ভাষাকে খাটো করার অভিযোগ উঠেছে রেল দপ্তরের বিরুদ্ধে।

    রেল দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অ-হিন্দিভাষী এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলোয় জনসাধারণের তথ্যের জন্য যে সব নামফলক। নোটিস বোর্ড ব্যবহৃত হয়, সেখানে আঞ্চলিক ভাষা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষা ব্যবহার হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ক্রমানুসারে আঞ্চলিক ভাষা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে লেখার কথা। কিন্তু রামপুরহাট স্টেশনে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ। স্টেশনে ঢোকার মেনগেটের সামনে সর্বাগ্রে দৃষ্টিগোচর হয় এমন জায়গায় অপেক্ষাকৃত বড় হরফে হিন্দিতে লেখা রয়েছে স্টেশনের নাম। একপাশে রয়েছে ইংরেজি এবং সবার শেষে কিছুটা ছোট হরফে বাংলার স্থান হয়েছে। ওই ঘটনায় সব মহলে বিরূপ সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

    সমাজকর্মী পার্থপ্রতিম গুহ, নাট্যকর্মী অমিতাভ হালদার, সাংস্কৃতিক কর্মী ঝন্টু সেনরা বলেন, 'বিভিন্ন রাজ্যে রেলওয়ে স্টেশনের সাইনবোর্ডে স্থানীয় ভাষাকে প্রাধান্য পেতে দেখছি। কিন্তু রামপুরহাট স্টেশনে তার উল্টো। বাংলাভাষী হিসেবে এর সংশোধন চাইছি।'

    রামপুরহাট রেলওয়ে পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভোলানাথ দে বলেন, 'হাওড়া স্টেশনে নামফলকে সর্বাগ্রে বাংলাভাষা স্থান পেয়েছে। অথচ রামপুরহাটে বাংলাভাষাকে সুকৌশলে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বিষয়টি রেল দপ্তরের গোচরে এনেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।'

    স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিষয়টি সেই ভাবে লক্ষ্য করিনি। তেমনটা হয়ে থাকলে পরিকল্পিত ভাবে বাংলা ভাষাকে খাটো করার চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে রেল দপ্তরের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হবে।'

    রামপুরহাটের স্টেশন ম্যানেজার মহম্মদ হাদিদুজ্জামান বলেন, 'ওই সাইনবোর্ডটি পুরোনো। স্টেশনে বন্দে ভারত প্রকল্পে সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কারের পরে সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী সাইনবোর্ড লাগানো হবে।

  • Link to this news (এই সময়)