জমি কেনাবেচা নিয়ে অশান্তি, ৩ লক্ষের সুপারিতে খুন! কোন্নগরে তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডে নয়া তথ্য
প্রতিদিন | ০২ আগস্ট ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: জমি কেনাবেচার টাকা নিয়ে অশান্তি। ৩ লক্ষ টাকার সুপারির বিনিময়ে কোন্নগরে তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়। তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির পর একাধিক বিস্ফোরক তথ্য পেল পুলিশ। তদন্তকারীদের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও শাসনের ভাড়াটে খুনিদের কাজে লাগানো হয়। কানাইপুরেরই বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে শাসনের বিশ্বজিৎ প্রামাণিক ও বারাসতের দীপক মণ্ডলকে ভাড়া করে। ঘটনার দু’দিন আগে তারা বিশার বাড়িতে আসে। এলাকা রেকি করে। খুনের পর কিছুটা হেঁটে যায়। তাদের সেখান থেকে স্কুটারে করে স্টেশনে পৌঁছে দেয়।
গত ৩০ জুলাই খুন হন তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্না। গ্যাস অফিস থেকে বেরনোর পর দুষ্কৃতীর এলোপাথাড়ি কোপে হাত বাদ যায় তাঁর। পরে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। তাতে স্পষ্ট দেখা যায়, আততায়ীরা কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করছে ওই তৃণমূল নেতাকে। খুনের পর পালিয়ে যায়। রেকি করার ছবিও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, রেকির সময় আততায়ীরা ফোনে কথা বলে। ওই সময়ের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা হয়। ফোন বন্ধ থাকলেও পুলিশ জানতে পারে কোন এলাকায় ছিল অভিযুক্তরা।
সেই অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার ও একজনকে আটক করছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীর ভাই ও দু’জন সুপারি কিলার। আটক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। ধৃতদের রবিবার শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হবে। ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস বলেন, “জমি বিবাদে এই খুন বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও কারণ এখনও পাওয়া যায়নি। ভাড়াটে খুনি দিয়ে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে।” এই খুনের নেপথ্যে আর কেউ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।