• মহারাষ্ট্রে ‘হেনস্তা’র শিকার বিষ্ণুপুরের ১, উদ্ধারে দূত পাঠালেন অভিষেক
    প্রতিদিন | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ভাষা আন্দোলনে’র সূচনা করেছেন তিনি। এবার নির্যাতিত শ্রমিককে উদ্ধারে মহারাষ্ট্রে দূত পাঠালেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    জানা গিয়েছে, নির্যাতিত শ্রমিক বছর ছাব্বিশের বাবাই সর্দার বিষ্ণুপুরের জুলপিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, বছর দু’য়েক আগে মুম্বইতে কাজে গিয়েছিলেন। পরিযায়ী শ্রমিক হেনস্তার আবহে প্রায় সপ্তাহখানেক তাঁর সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছেন না। যুবকের পরিবারসূত্রে খবর, ওই যুবকের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্র বিষ্ণুপুরের। যুবকের কাছেও সেসব রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। বাবাইয়ের পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল এবং সাংসদের দ্বারস্থ হন।

    হেনস্তার খবর পাওয়ার পরেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার সন্ধেয় দমদম বিমানবন্দর থেকে মহারাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। মোট চার সদস্যের প্রতিনিধি দল রয়েছে। তাঁরা হলেন ? অরূপকুমার দাস, শচী নস্কর, রাজীব গাজি, পলাশ কর্মকার। এই চারজনই ডায়মন্ড হারবারের স্থানীয় নেতৃত্ব। ভিনরাজ্যে হেনস্তা পরিযায়ী শ্রমিকদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা।

    উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ভাষা আন্দোলনে’র সূচনা করেছেন তিনি। যদিও দুর্গাপুরের সভামঞ্চ থেকে বাঙালি হেনস্তার পালটা অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে বা যারা অনুপ্রবেশ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নেবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)