• ভূমিধসে বন্ধ দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের একাধিক রাস্তা, জাতীয় সড়কে বন্ধ যান চলাচল
    প্রতিদিন | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: উত্তরে অতি ভারী বৃষ্টিতে ফের ভূমিধসে অবরুদ্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং সিকিমে হড়পা বানের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। শনিবার ভোরে সিংতাম বাজারের কাছে তিস্তা নদী থেকে একটি অজ্ঞাত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে সিকিমের লোকসভার সাংসদ ইন্দ্র হাং সুব্বা কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকরির সঙ্গে দেখা করেছেন। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকায় বন্যা প্রতিরোধ এবং সড়ক পুনরুদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি।

    শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ভূমিধস নেমে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়েছে৷ দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমের একাধিক জায়গায় আজ, শনিবার নতুন করে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে৷ শনিবার সকালে তারখোলার কাছে মাংচু বনবস্তি এলাকায় ভূমিধসের জন্য জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়। সড়ক দিয়ে সমস্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। লাভা থেকে লোলেগাঁও রুট বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের তরফে লোলেগাঁও রুট এড়িয়ে এবং পাহাড়ি রাস্তায় সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালা শুভ্রব্রহ্মণ টি বলেন, “শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং রুট খোলা রয়েছে। কিন্তু বাংলা-সিকিম যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সিকিমের জন্য সমস্ত যানবাহন সেভক থেকে গরুবাথান আলগাড়া হয়ে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

    এছাড়াও সিকিমের পেডংয়ে ঋষি মন্দিরের কাছে ভূমিধস নেমে অবরুদ্ধ হয়েছে ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। এছাড়াও এদিন সকালে তারখোলায় ব্যাপক ধসের ঘটনা ঘটে। যার জেরে সড়কের একাংশ ধসে যায়। পাশাপাশি কালিম্পংয়ের ১০ মাইল, ২৭ মাইল ও মামখোলাতেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ওই কারণে বন্ধ রয়েছে বাংলা-সিকিম যোগাযোগ। ওই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকায় বন্যা প্রতিরোধ এবং সড়ক পুনরুদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি নিয়ে সিকিমের লোকসভার সাংসদ ইন্দ্র হাং সুব্বা কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গডকরির সঙ্গে দেখা করেন। সড়কটি সিকিমের সঙ্গে ভারতের অন্য অংশকে জুড়েছে।

    সাংসদ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিপর্যস্ত দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অংশ। যেখানে জাতীয় সড়ক বারবার ভূমিধস এবং বন্যার কবলে পড়ছে। এছাড়াও সেভক এবং মেল্লিতে ঘন ঘন নদী ঢুকে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিপদের কথাও জানান। সাংসদ বলেন, “বাঁধ শক্তিশালী করা এবং উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা জরুরি হয়েছে। প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।” তিনি তিস্তার বিপরীত তীরে একটি বিকল্প গ্রিনফিল্ড হাইওয়ে নির্মাণের আবেদন রাখেন। গ্রিনফিল্ড প্রকল্পটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে অস্থায়ী উঁচু করিডোরের পরামর্শ দেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)