‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে চর্চায় হাতির হানা, ঝাড়গ্রামের রাস্তায় আলোর দাবি
প্রতিদিন | ০৩ আগস্ট ২০২৫
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি সূচনার দিনই চর্চায় হাতির হানার সমস্যা। ঝাড়গ্রামের দুটি বুথ নিয়ে ক্যাম্প বসেছে। সেখানে সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। দেখা গিয়েছে যে ১৫টি সমস্যা সামনে এসেছে, তার মধ্যে ১০টিই হল জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বেরিয়ে আসা হাতি সংক্রান্ত।
এলাকার গ্রামগুলিতে নিত্যদিন হাতির উৎপাত লেগেই থাকে। দাবি উঠেছে, পর্যাপ্ত পথবাতির। সোলার বা ইলেকট্রিকের স্ট্রিট লাইটের দাবি জানানো হয়েছে। আজ, শনিবার সারা রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির মতো ঝাড়গ্রামেও শুরু হয়েছে চারটি বিধানসভা এবং পুর এলাকার বুধগুলিকে নিয়ে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা অঞ্চলের দুটি বুথকে নিয়ে(১৬৩, ১৬৫) নিয়ে ঢোলকাট, পুকুরিয়া প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে একটি ক্যাম্প হয়। এই ক্যাম্পে বড়চাঁদাবিলা, খাসজঙ্গল, শিমূলডাঙা, দুধখুড়ি, ঢেকিপুর, ঢোলকাট, কুণ্ডলডিহি, বনকাটি প্রভৃতি গ্রামের মানুষজন ক্যাম্পে এসে এলাকার সমস্যার কথা বলেন।
মোট ১৫ দফা যে সমস্যা উঠে এসেছে তাতে ১০ টি লোকালয়ে বুনো হাতির হানা সংক্রান্ত। সন্ধ্যা নামলেই হাতির দল হানা দিচ্ছে গ্রামে, উঠে পড়ছে পিচ রাস্তায়। মাঠের ফসল খেয়ে, ছড়িয়ে নষ্ট করছে হাতির দল। অতীতে সাধারণ মানুষ হাতির হানায় মারা গিয়েছেন বলেও খবর। সে কারণে এবার এলাকার রাস্তাগুলিতে আলোর দাবি তোলা হয়েছে। কুন্ডলডিহি গ্রামের ইউনাইটেড ক্লাবের পাশ দিয়ে একদিকে জাতীয় সড়ক এবং অন্যদিকে জেলা সদর ঝাড়গ্রাম যাওয়ার পিচ রাস্তা চলে গিয়েছে। এদিকে এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রায় দিনই হাতির যাতায়াত লেগে থাকে। এই এলাকা দিয়ে গ্রামে হাতি ঢোকে বলে অভিযোগ। এই এলাকায় উচ্চক্ষমতা যুক্ত আলো লাগানোর দাবি জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় দাবি হিসেবে উঠে এসেছে বনকাটি নিচুপড়ায় পাঁচটি সোলার লাইট। তৃতীয় সমস্যা হিসেবে বনকাটি গ্রামের শ্মশানে একটি কমিউনিটি শেড।
এদিন এই ক্যাম্পে হাজির ছিলেন স্বয়ং জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল। তিনি নিজেও শুনেছেন সমস্যা। ঝাড়গ্রাম শহরেরও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মোট চারটি বুথ নিয়ে দুটি ক্যাম্প হয়। ঝাড়গ্রাম শহরের বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিও উঠেছে। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, “হাতির সমস্যাইয় বিভিন্ন গ্রামে পথবাতির জন্য মানুষ জানিয়েছেন। এছাড়া রাস্তা, পানীয় জল-সহ অন্য কিছু সমস্যার কথাও জানানো হয়েছে।” এদিন ঝাড়গ্রাম জেলার ২৫টি বুথকে নিয়ে মোট ১১ টি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।