পরীক্ষা স্থগিত রেখে স্কুলে শিবির কর্তৃপক্ষ-প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ
বর্তমান | ০৩ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, ইটাহার: স্কুলে বসেছে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির। সেজন্য নির্ধারিত পরীক্ষা দিতে এসেও ঘুরে যেতে হল ছাত্রছাত্রীদের। ইটাহার হাইস্কুলে শনিবারের এই ঘটনায় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। এদিনের পরীক্ষা যে স্থগিত করা হয়েছে, জানতই না পড়ুয়ারা। এদিন স্কুলে এসে শিবির দেখে অবাক পড়ুয়ারা। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের সেকেন্ড সামেটিভ ছিল। পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানতে পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ঘুরে যায় তারা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নারায়ণ ধর বলেন, শুক্রবার রাতে শেষ মুহূর্তে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুলে সরকারি পরিষেবামূলক শিবির হওয়ার নির্দেশ আসায় আমরা পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই রাতে পরীক্ষার্থীদের জানানো সম্ভব হয়নি। পরে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও শিবিরের বিষয়টি আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি ইটাহারের বিডিও দিব্যেন্দু সরকারের।
স্কুল সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে পঞ্চম থেকে দশমের সেকেন্ড সামেটিভ শুরু হয়েছে। পরীক্ষা দিচ্ছে প্রায় ১ হাজার ২০০ পড়ুয়া। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন সময়ে স্কুলে এসে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় পড়ুয়ারা। বাড়ি ঘুরে যাওয়ার পথে ছাত্র সানু সাহা বলে, স্যার বললেন আজ পরীক্ষা বন্ধ। স্কুলে নাকি সরকারি ক্যাম্প বসেছে।
আগাম কিছু না জানিয়ে স্কুলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এক ছাত্রের অভিভাবক সোনাই মজুমদারের কথায়, আগাম নোটিস না দিয়ে এভাবে পরীক্ষা বন্ধ করা মানে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার মানসিকতাকে দুর্বল করে দেওয়া।
পরীক্ষা বন্ধ রেখে স্কুলে শিবির করা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিএম নেতা অজয় চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা কামরুল হক। তাঁদের অভিযোগ, সরকার শিক্ষা বন্ধ রেখে বুথের উন্নয়নে ব্যস্ত। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নিয়ে আগে ভাবা উচিৎ ছিল। নিজস্ব চিত্র