• অ্যান্টি ক্রাইম ব্যুরোর অফিসার পরিচয়ে অনলাইনে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা
    বর্তমান | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: অ্যান্টি ক্রাইম ব্যুরোর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে অনলাইনে কয়েনে বিনিয়োগের নামে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি গৌড়বঙ্গজুড়ে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে মাস্টারমাইন্ডের ছেলে দেবাশিস দাসকে গ্রেপ্তার করেছে হরিরামপুর থানা। মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। বছর ছাব্বিশের ধৃতের বাড়ি হরিরামপুর থানার বড়গ্রাম মুস্কিপুরে।

    পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে দুই দিনাজপুর ও মালদহ থেকে এসে প্রতারিতরা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করেন। অভিযুক্তকে না পেয়ে তার ছেলেকে আটক করে রাখেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিস মুস্কিপুরে গিয়ে প্রতারিতদের হাত থেকে অভিযুক্তের ছেলেকে উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার করে।

    অভিযোগ, হরিরামপুরের কবীর মোহন দাস ও তার ছেলে দেবাশিস অনলাইনে বিদেশি কয়েনে বিনিয়োগের মাধ্যমে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখায় গৌড়বঙ্গের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে। কিছুদিনের মধ্যে কোটি টাকার মালিক হওয়ার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। মানুষের কাছে নিজেকে অ্যান্টি ক্রাইম ব্যুরোর আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিত। একটি ভুয়ো আই কার্ডও দেখাত মানুষকে। বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা চক্র চালাত। সবটাই ছিল চেন মার্কেটিং। 

    গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, অনলাইনে কয়েনে বিনিয়োগের নামে প্রতারণা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করেছি। 

    গৌড়বঙ্গের তিন জেলাতেই এজেন্ট নিয়োগ করে এই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হতো। বহু মানুষ এই ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খুইয়ে হরিরামপুর থানায় অভিযোগ  দায়ের করছেন। একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। 

    প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, প্রায় দু’হাজার ব্যক্তিকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে অভিযুক্ত। বিনিয়োগের নামে মানুষের কাছে টাকা নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বাড়ি জমি কিনেছে তারা। ঘটনাটি সামনে আসতেই গা ঢাকা দিয়েছে কবীর। 

    অভিযুক্তের ছেলে দেবাশিস জানায়, বাবা একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কয়েনের ব্যবসা করত। এবিষয়ে কিছু জানি না। এদিন দেবাশিসকে আদালতে তুলে পাঁচদিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস। এসডিপিও বলেন, এই প্রতারণার জাল কত গভীরে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিও চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)