নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মাঝেমধ্যেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল থেকে চুরির ঘটনা ঘটছিল। কখনও চুরি যাচ্ছিল এসির তামার তার। কখনও আবার জলের পাইপ, কলের মুখ উধাও হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতদের নাম শেখর দাস, বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরের ডাঙাপাড়ায়। অন্যজন গণেশ চূর্ণকার মোহিতনগর এলাকার বাসিন্দা।
কোতোয়ালি থানা সূত্রে খবর, মেডিক্যাল কলেজ চত্বর থেকে বমাল গ্রেপ্তার করা হয় শেখরকে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গণেশের নাম পাওয়া যায়। মোহিতনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। দু’জনই কমবয়সি এবং মাদকাসক্ত। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
নেশার টাকা জোগাড়ে জলপাইগুড়ি শহরে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ। কখনও ভিড় বাজারে জামা-প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। কখনও আবার টোটোর ব্যাটারি সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে কম বয়সি মাদকাসক্তরা। মন্দিরের তালা ভেঙে চুরির ঘটনাও ঘটছে।
পুলিস অবশ্য অভিযান চালিয়ে এ ধরনের চুরির ঘটনায় গত কয়েকদিনে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি শহরের সুভাষ উন্নয়নপল্লি এলাকার বাসিন্দা সাওয়ান মণ্ডল নামে ১৯ বছরের এক তরুণকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়। মাদকাসক্ত ওই তরুণ শহরের বিভিন্ন মন্দিরে চুরি করত। তার কাছ থেকে মন্দিরের থালাবাসন, প্রণামী বাক্স থেকে হাতানো কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া শহরের বিবেকানন্দ পাড়ার বাসিন্দা ২২ বছরের বিজয় সরকারকে টোটো চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি টোটো উদ্ধার হয়েছে।