সংবাদদাতা, বনগাঁ: শনিবার সকালে বনগাঁয় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চালকের। মৃতের নাম বিষ্ণুপদ সরকার (৭৫)। এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন প্রায় ২৫ জন বাসযাত্রী। তাঁদের বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ-বাগদা সড়কের চাঁদা রায়পুরে।
এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ বাগদার বয়রা থেকে বনগাঁগামী ৯২ নম্বর রুটের একটি বাস চাঁদা রায়পুর এলাকায় রাস্তার পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন চালক। ক্রেন এনে গাড়ি সরিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিন বনগাঁ আসার জন্য বাসে উঠেছিলেন কুন্দিপুরের বাসিন্দা বৃদ্ধ দিলীপ বাছার। তিনি বলেন, বাসটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। হেলেঞ্চার বাসিন্দা রীতা মণ্ডল গোপালনগর থানায় সিভিক পদে কর্মরত। এদিন ওই বাসটিতে করেই ডিউটিতে যাচ্ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় জখম হন তিনি। ভোলানাথ প্রামাণিক নামে বছর আশির বাগদার রণঘাটের বাসিন্দাও বাস দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তাঁর মাথায় চোট লাগে। বনগাঁ কলেজে পরীক্ষা দিতে আসছিলেন দেবাশিস রায়। তিনি বলেন, বাসে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ হল। চোখে অন্ধকার দেখলাম। এরপর রাস্তায় ছিটকে পড়ি।
এদিনের এই দুর্ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বনগাঁ বাগদা সড়কের অবস্থা খুবই শোচনীয়। আগেও রাস্তা সারাই করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। এদিন একটি গর্তকে পাশ কাটাতে গিয়েই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। হাসপাতালে জখম যাত্রীদের দেখতে আসেন বনগাঁর মহকুমাশাসক ঊর্মি দে বিশ্বাস, পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ প্রমুখ। নিজস্ব চিত্র