• দক্ষিণবঙ্গে বিছিন্ন বৃষ্টি হলেও উত্তরে চলবে ভারী বর্ষণ
    এই সময় | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়: ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমি অক্ষরেখার জোড়া প্রভাবে ফের ভারী বর্ষণের আশঙ্কা উত্তরবঙ্গে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বর্তমানে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে বিহার সংলগ্ন এলাকা ও সিকিমের উপর। এ দিকে মৌসুমি অক্ষরেখা মুজফ্ফরপুর, পূর্ণিয়া হয়ে বহরমপুরের ওপর দিয়ে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। তার জেরে দক্ষিণবঙ্গে আপাতত সাময়িক বিরতি নিলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দাপট বাড়বে বলে পূর্বাভাস করেছে হাওয়া অফিস।

    আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সপ্তাহের শুরুর দিকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। আজ, রবিবার এবং কাল সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি হবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দুই বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তবে আকাশ মেঘে ঢাকা থাকবে বেশিরভাগ সময়।

    যদিও মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি বদলাবে বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। ওই দিন থেকে বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও ভ্যাপসা গরম ও উচ্চ আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বাড়বে শহর ও শহরতলির বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার থেকে ফের এক দফা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি হতে পারে প্রায় সব জেলাতেই। কলকাতায় বুধবার পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তার ফলে বাড়বে তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশির দিকেই থাকবে।

    উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিতে বিশেষ বদল নেই। আজ, রবিবার এবং সোমবার পর্যন্ত অতিবৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে, দার্জিলিং, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে। বজ্রবিদ্যুৎ–সহ হালকা-মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে ধসের আশঙ্কা এবং নদীর জলস্তর বৃদ্ধি বিষয়েও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

    টানা বৃষ্টির কারণে এমনিতেই তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। পাহাড়ি এলাকায় জলস্তর বৃদ্ধির ফলে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ ধসের আশঙ্কা রয়েছে। নদীবক্ষে বসবাসকারী ও নিচু এলাকাবাসীদের জন্য ইতিমধ্যেই সর্তকবার্তা জারি করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।

  • Link to this news (এই সময়)