• স্বেচ্ছামৃত্যু চাইছে পূর্ব মেদিনীপুরের রাউত পরিবার
    এই সময় | ০৩ আগস্ট ২০২৫
  • সোমনাথ মাইতি, দিঘা

    মহকুমাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দপ্তর পাশাপাশি। সেখানে ছেলেকে নিয়ে গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে ঘোরাফেরা করছেন এক ব্যক্তি। পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? একটু খুঁটিয়ে দেখলেই দিব্যি পড়া যাচ্ছে—‘আদালতের রায় মানা হচ্ছে না। সপরিবারে আক্রান্ত হয়েছি আমরা। বাড়িতে নিরাপত্তা নেই। প্রশাসন স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন।’ এ ভাবেই স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন হরিশচন্দ্র রাউত, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে।

    গোটা পরিবার স্বেচ্ছামৃত্যু চাইছে কেন? হরিশচন্দ্র জানিয়েছেন, দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার মৈত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর সঙ্গে দাদা গোপালচন্দ্র রাউতের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিবাদ। হরিশচন্দ্রের অভিযোগ, পৈত্রিক সম্পত্তির বৈধ কাগজপত্র ও আদালতের প্রয়োজনীয় নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দাদা গোপালচন্দ্র তাঁকে বাড়ি তৈরি করতে দিচ্ছেন না। সম্প্রতি বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন।

    হরিশচন্দ্রের অভিযোগ, ‘যখনই মিস্ত্রি কাজ করতে আসে তখনই দাদা তাঁর লোকজন নিয়ে এসে কাজে বাধা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের অংশে বাড়ি তৈরি করতে গেলে দাদা আমার পরিবারের উপরে হামলা চালায়। স্ত্রী ও বড় ছেলে গুরুতর জখম হয়েছে। তারা কাঁথি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ শুক্রবার সকালে কাঁথি মহকুমাশাসকের দপ্তরে হরিশচন্দ্র ও তাঁর ছোট ছেলে কমলকে নিয়ে গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর দাবি জানিয়েছেন।

    বিষয়টি মহকুমাশাসকের নজরে আসতে দু’জনকে দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন মহকুমাশাসক। এই ঘটনায় দাদা গোপালচন্দ্র–সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে হরিশচন্দ্র। কাঁথির মহকুমাশাসক প্রতীক অশোক ধুমাল বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিএলএলআরও–কে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলেছি। দিঘা মোহনা কোস্টাল থানাকেও পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে বলা হয়েছে।’ যদিও দাদা গোপালচন্দ্র রাউত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

  • Link to this news (এই সময়)