• খেলতে খেলতে সবার অলক্ষ্যে পুকুরে, আড়াই বছরের অর্ঘ্যর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বেলদা
    এই সময় | ০৪ আগস্ট ২০২৫
  • পাড়ায় সকলের কাছেই সে ছিল বড় আদুরে। সবে কথা বলতে শিখেছিল। আড়াই বছরের অর্ঘ্যকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ গোটা পাড়া। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার কমিয়াচক গ্রামের। রবিবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অর্ঘ্যদীপের। মর্মান্তিক এই ঘটনার পরে কমিয়াচক গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অর্ঘ্যদীপের বাবা প্রশান্ত দাস একজন কৃষক। এ দিন ১১টা নাগাদ বাড়ির উঠোনে খেলছিল অর্ঘ্যদীপ। এর পরে সে ঠাকুমার সঙ্গে পাশের বাড়িতে যায়। সেখানে তার ঠাকুমা যখন গল্পে ব্যস্ত, সেই সময়ে অর্ঘ্যদীপ একা বেরিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে নেমে যায়। আর তার পরেই সকলের চোখের নিমেষে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

    স্থানীয় সূত্রের খবর, বর্ষার জলে এখন পুকুর একেবারে জলমগ্ন। আর সেই পুকুরের জলেই তলিয়ে যায় অর্ঘ্যদীপ। সেই সময়ে অর্ঘ্যদীপের মা বাড়িতে রান্না করছিলেন। তাই তিনিও বিষয়টি খেয়াল করেননি। বেশ কিছুক্ষণ পরে বাড়ির লোকেরা অর্ঘ্যদীপের খোঁজ শুরু করে। তাকে ঘরে-বাইরে কোথাও দেখতে না পেয়ে সকলেই চিন্তায় পড়ে যান। এর পরেই একজন পুকুরে অর্ঘ্যদীপের দেহ ভাসতে দেখেন।

    স্থানীয় সূত্রের খবর, পরিবারের লোকেরা দ্রুত অর্ঘ্যদীপকে উদ্ধার করে বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দাস দম্পতি।

    গ্রামের একজন বৃদ্ধা অলকা মান্না কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ওর ঠাকুমার হাত ধরে আমাদের বাড়িতে এসেছিল। তার পরেই কখন একা একা চলে গেল কেউ বুঝতেই পারলাম না। সবে একটু একটু কথা বলতে শিখেছিল।’ পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আড়াই বছরের এক শিশুর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)